কর্ণাটকের হিজাব বিতর্কের ঢেউ এবার এসে পৌঁছল কলকাতাতে। একটি শিক্ষা প্ꦬরতিষ্ঠানে এক শিক্ষিকার হিজাব পরা নিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন কলেজ কর্তৃপক্ষ। তারজেরে ইস্তফা দিতে বাধ্য হন ও🗹ই শিক্ষিকা। যদিও বিতর্কের মুখে পড়ে শেষ পর্যন্ত কলেজ কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নেয়। ফলে কর্ণাটকের মতো পরিস্থিতি হল না এরাজ্যের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। জানা যাচ্ছে, আবার ওই কলেজে কাজে যোগ দিচ্ছেন শিক্ষিকা।
আরও পড়ুন: হিজাব প্রসঙ্গ ঘিরে উ🃏ত্তেজনা স্কুল চত্বরে! দশম শ্রেণির ছাত্রকে মারধর ত্রিপুরায়
জানা যাচ্ছে, কলেজ কর্তৃপক্ষ হিজাব পরতে বাধা দেওয়ায় ওই কলেজের শিক্ষিকা সানজিদা কাদের গত ৫ জুন ইস্তফা দেন। তাতে তিনি উল্লেখ করেন, কলেজ কর্তৃপক্ষের হিজাব বিরোধী নীতির কারণে তিনি পদত্যাগ করতে বাধ্য হচ্ছেন। তাঁর অভিযোগ, তাঁকে হিজাব খুলে কলেজে আসতে বলা হয়েছিল। তবে ধর্মীয় বিশ্ব💦াস এবং মূল্যবোধে আঘাত করার কারণে তিনি ইস্তফা দিতে বাধ্য হয়েছেন। সানজিদা বলেন, ‘একজনকে জোর করে হিজাব পরতে বাধ্য করা যেম🍒ন অপরাধ, তেমনি জোর করে হিজাব খুলতে বাধ্য করাও হল সমান অপরাধ।’
সানজিদা হলেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বেসরকারি এলজেডি আইন কলেজের শিক্ষিকা। প্রায় আড়াই বছর ধরে তিনি এই কলেজে শিক্ষকতা করছেন। তবে গত রমজান মাস থেকে তিনি হিজাব পরে কলেজে আসা শুরু🌠 করেন। তারপরেই ঘটে বিপত্তি। প্রথমে মৌখিকভাবে সানজিদাকে হিজাব পড়তে নিষেধ করে কলেজ কর্তৃপক্ষ। পরে গত ৩১ মে পোশাক বিধি জারি করে। ফলে বাধ্য হয়ে তিনি ইস্তফা দেন।
এদিকে, এই ঘটনার পরে সংখ্যালঘু কমিশনের ব্যবস্থা হন সানজিদা। এই ঘটনার পর সমাজমাধ্যমেও এ নিয়ে লেখালেখি করেন। তাতে ছাত্রছাত্রীরা তাঁর পাশে থাকার বার্তা দেন। সেক্ষেত্রে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, হিজাব ধর্মীয় চিহ্ন বলে বাতিল করা হলে সে ক্ষেত্রে শাখা, সিঁদুর, নোয়ার ক্ষেত্রে তা প্রযোজ্য হবে না কেন। এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানান রাজ্যের মন্ত্রী তথা জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের রাজ্য সভাপতি সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী। এদিকে, বিষয়টি জানতে পেরে শিক্ষিকার সঙ্গে যোগাযোগ করেন দেবড়ার তৃণমূল বিধায়ক তথা প্রাক্তন আইপিএস অফিসার হুমায়ূন কবীর। তিনি ওই ল কলেজের পরিচালন কমিটির সঙ্গে যোগাযোগ করেন। ꦯগতকাল সোমবার তিনি সানজিদাকে সঙ্গে নিয়ে ওই কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একটি বৈঠক করেন। তাতে সমাধান সূত্র বেরিয়ে আসে।
এব🧸িষয়ে কলেজের চেয়ারম্যান গোপাল দাস বলেন, ‘আমরাও চাই না ধর্ম নিয়ে কোনও বাড়াবাড়ি হোক। কারণ আমরা সব সময় একসঙ্গে থাকতে ভালোবাসে। আমরা দোপাট্টার অনুমতি দিয়ে দিয়েছি। সেটাকে তিনি মাথায় জড়িয়ে হিজাব হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। আমাদের কোনও আপত্তি নেই।’ জানা যাচ্ছে𒁃, আজ মঙ্গলবার থেকে সানজিদার ল কলেজে যোগদান করার কথা। সানজিদা বলেন, ‘সংবিধানে আমাকে যে অধিকার দেওয়া হয়েছে সেই অধিকার কেউ আমার থেকে কেড়ে নিতে পারে না। যারা আমার লড়াইয়ের সঙ্গে ছিলেন তাদের সকলকে ধন্যবাদ জানাই।’