আসানসোলে লোকসভা এবং বালিগঞ্জে বিধানসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ভোটের উত্তাপ বাড়ছে। কোমর বেঁধে প্রচারে নেমেছে সমস্ত রাজনৈতিক দল। বিজেপির হয়ে প্রচার করছেন কেন্দ্রীয় নেতারা। শনিবার আসানসোলে বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রার হয়ে শেষ দিনে প্রচারে এসেছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ। নির্বাচনী প্রচারে এসে তিনি রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্য সরকারকে তুলোধোনা করেছেন। এনিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্করের তীব্র সমালোচনা করলেন তৃণমূল সাংসদ তথা দলের মিডিয়া কো-অর্ডিনেটর কুণাল ঘোষ। অবিলম্বে এর জন্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ক্ষমা চাওয়া উচিত বলে দাবি করেছেন কুণাল ঘোষ। উল্লেখ্য, আসানসোলে তৃণমূল প্রার্থী হয়েছেন অভিনেতা শত্রুঘ্ন সিনহা। তবে তিনি বেশিদিন তৃণমূলে থাকবেন না বলেই নিশানা করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর। এ প্রসঙ্গে রবিশঙ্কর বলেন, ‘শত্রুঘ্ন সিনহা কতদিন তৃণমূলে থাকবেন! উনি তো আমার কাছেই হেরেছিলেন।’ বাংলার পরিস্থিতি নিয়েও নির্বাচনী প্রচারে প্রশ্ন তুলে রবিশঙ্কর বলেন, ‘বাংলার পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে মানুষ পুলিশের উপর আস্থা রাখতে পারছেন না। এর জন্য একই ঘটনায় বারবার সিবিআই তদন্ত চেয়ে আদালতে যেতে হচ্ছে মানুষকে।’ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এই মন্তব্যের কড়া জবাব দিয়ে কুণাল ঘোষ বলেন, ‘বাংলার মানুষ বিজেপিকে প্রত্যাখ্যান করেছে। তাই তারা বাংলার কুৎসা করতে মাঠে নেমেছেন। বাংলায় প্রতিটি অন্যায়ের শাস্তি দিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। যে মন্তব্য উনি করেছেন তার জন্য ক্ষমা চাওয়া উচিত।’অন্যদিকে, এদিন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ি যান কুণাল ঘোষ। সেখানে এসএসসিতে নিয়োগে দুর্নীতি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বিতর্কিত মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘ব্রাত্য বসুর আমলে দুর্নীতি হয়নি, দুর্নীতি হয়েছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আমলে। এসএসসি বিষয়গুলি সরকারি। আমি দলীয়ভাবে কিছু বলতে চাই না। যা বলার পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলবেন।’