সন্দেশখালির মহিলাদের তৈরি করা খাবার খেলেন কুণাল ঘোষ। ‘সন্দেশখালি চাউল-কথা’ নামে সেই অনুষ্ঠানে খাবারের পদে শাক, মাছ, পিঠের মতো পদও ছিল ব🧸লে দাবি করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা। শনিবার নিজের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে চারটি ছবি পোস্ট করে তিনি লেখেন, 'সন্দেশখালি থেকে আসা প্রাকৃতিক ফসল সম্পদ, সেখানকার মা-বোনদের হাতের রান্নায় হরেক পদের মেলা। নানারকম চাল, শাক, মাছ থেকে পিঠে পর্যন্ত। শনিবার টালা পার্কে। পরিকল্পনা পূর্ণেন্দু বসুর।' একটি ছবিতেও কুণালকে খাইয়ে দিতেও দেখা গিয়েছে। যদিও বিষয়টি নিয়ে একাংশের কটাক্ষের মুখে পড়েছেন কুণাল।
নেটিজেনদের তোপ
এক নেটিজেন বলেন, ‘টালা পার্কে বসে না খেয়ে সন্দেশখালিত♛ে গিয়ে তো খেতে পারতেন। গিয়ে বলতেন যে আমি তৃণমূলের লোক, (শেখ) শাহজাহান আর দলের লোক।’ একইসুরে একজন বলেন, ‘এটা তো স্বেচ্ছায় করেননি (সন্দেশখালির মহিꦜলারা), জোর করে তাঁদের কিছুটা নিয়ে এসে এই আয়োজন (করা হয়েছে)। নয়তো সন্দেশখালির মানুষ তৃণমূলিদের ঘেন্না করেন।’
অপর এক নেটিজেন বলেন, ‘সন্দেশখালিಞর মা-বোনেরা আপনাকে আর আপনাদের নেতাদের রান্না করে খাওয়াতে আসবেন না। কোনও পাঁচতারা হোটেল থেকে এনে নাটক হচ্ছে। ওঁদের হাতে রান্না খাওয়ার পরে তো নেতারা আবার রাত ১২টায় পিঠে বানাতে ডাকবেন। এই ভয়টা তো (সন্দেশখালিﷺর) মা-বোনেদের আছে। খুব শখ না।’
উল্লেখ্য, শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে সন্দেশখালির মহিলারা অভিযোগ তুলেছেন যে রাত হলে তাঁদের ডেকে পিঠে বানানোর জন্য ডেকে পাঠানো হত। তৈরি করতে বলা হত বিভিন্ন খাবার। তাঁরা দাবি করেন, রাতে ডেকে পাঠাতেন শাহজাহানা বাহিনী। তৈরি করে দিতে হত মাংস বা পিঠে বা বিরিয়ানি। যা বলতেন শিবু হাজরা, উত্তর সর্দাররাꦜ, তা করতেই হত। নাহলে জুটত হুমকি। আর শাহজাহান বাহিনীর সদস্যরা সেইসময় মদে পুরোপুরি ডুবে থাকতেন বলে অভিযোগ করেছেন সন্দেশখালির মহিলারা।
সন্দেশখালিতে সিবিআই
টালা পার্কে যখন ‘সন্দেশখালি চাউল-কথা’ চলছিল, তখন তদন্তের জন্য ফের সন্দেশখালি যান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের আধিকারিকরা। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মতো ইমেলের মাধ্যমে যাঁরা অভিযোগ জানিয়েছিলেন, অভিযোগকারীদের বাড়িতে গিয়ে তাঁদের সঙ্গে বলেন। সংগ্রহ করেন প্রয়োজনীয় নথি-প্রমাণ। উল্লেখ্য, আপাতত হাইকোর্টের নির্দেশে সন্দেশখালির ঘটনায় তদন্ত করছে সিবিআই। ১০ এপ্রিল সন্দেশখালির যাবতীয় তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে দেয় হাইকোর্টের প্রধান বিচারꦇপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ।