গতকাল রাতে কালীঘাটে তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির সামনে থেকে ধরনামঞ্চে ফিরছেন ডাক্তাররা। সেই সময়ই খবর আসে যে চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের মামলাতেও গ্রেফতার হয়েছেন আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। সঙ্গে গ্রেফতার হয়েছেন টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডল। আর সেই খবর প্রকাশ হতেই নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডে সক্রিয় হয়ে ওঠেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। কারও নাম না নিয়েই দাবি করেন, ধর্ষণ ও খউনের মামলায় যারা দোষী তারা প্রত্যেকে শাস্তি পাক। পাশাপাশি সিবিআই-এর উদ্দেশে কুণালের বার্তা, তারা যেন দ্রুত জাল গুটিয়ে আনে। (আরও পড়ুন: জা🐻রি আন্দোলন, তবে কাজে🅠 ফেরা নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত জুনিয়র ডাক্তাররা: রিপোর্ট)
আরও পড়ুন: 'তাদের শিবির থেকেই অডিয়ো লি🦹ক...'♚, কলতানের গ্রেফতারির পর ফের সরব কুণাল
উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই আরজি করের দুর্নীতি মামলায় জেলে আছেন সন্দীপ ঘোষ। এহেন সন্দীপকে গতকাল গ্রেফতার করা হয় আরজি করের ধর্ষণ ও খুনের মামলাতেও। খুনের মামলার তাঁকে ‘শোন অ্যারেস্ট’ দেখানো হল। সেইসঙ্গে টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকেও গ্রেফতার করেছে সিবিআই। রিপোর্ট অনুযায়ী, তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগ এ♚বং দেরিতে এফআইআর দায়ের করায় তাঁদের গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এই আবহে কুণাল ঘোষ সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে লেখেন, 'আরজি কর। ধর্ষণ এবং খুনে প্রকৃত দোষী যে/যারা, তথ্য প্রমাণ লোপাটে যে/যারা, প্রত্যেকে শাস্তি পাক। প্রথম থেকে বলছি, আজও বলব। তদন্তের জাল আরও দ্রুত গোটাক সিবিআই। আইন আইনের পথে চলুক।'
প্রঙ্গত, গত ৯ অগস্ট আরজি কর মেডিক্য়াল কলেজ এবং হা🌌সপাতালের সেমিনার রুম থেকে তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয়েছিল। এবং তারপর থেকেই এই ঘটনায় সন্দীপের ভূমিকা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠেছিল। এমনকী কুণাল ঘোষ নিজে সিবিআই দফতরে গিয়ে বেশ কিছু নথি সিবিআই-এর হাতে তুলে দিয়েছিলেন। এদিকে হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টেও প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছিল সন্দীপকে। বিশেষত কেন তিনি এফআইআর দায়ের করেননি, তা নিয়ে বারবার প্রশ্ন উঠেছিল। আর সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলার শেষ শুনানিতে সিবিআই-এর মুখবন্ধ খামের রিপোর্ট পড়ে প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন করেছিলেন, 'আরজি কর থেকে সন্দীপের বাড়ি কতক্ষণের পথ?' সিবিআই রিপোর্টের বিষয়বস্তু বাইরে না এলেও খুন এবং ধর্ষণের মামলায় সন্দীপ যে সিবিআই নজরে ছিল, তা স্পষ্ট হয়ে দিয়েছিল তখনই।