এনসিআরবি রিপোর্ট দিয়েছিল, কলকাতা দেশের মধ্যে সবচেয়ে নিরাপদ শহর। ২০২৪ সালের আবাহনে যে উৎসবমুখর পরিবেশ তৈ🔯রি হয়েছিল এবং তার জেরে যে বিপুল পরিমাণ মানুষ রাস্তায় নেমেছিলেন সেখানে কোনও বড় দুর্ঘটনা, ক্ষতি বা হামলার ঘটনা ঘটেনি। কলকাতা পুলিশ সুন্দরভাবে এই ভিড়কে সামলে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেন। তাতে উৎসবের আনন্দও নিতে পেরেছে মানুষ, আবার নিরাপদে বাড়িও ফিরে গিয়েছেন। দেশে যখন জনসংখ্যা বাড়ছে তখন উৎসবমুখর বাংলায় এমন নিরাপদ সহাবস্থান তৃতীয় বছরও প্রমাণ করল ‘কলকাতা সবচেয়ে নিরাপদ শহর’। দুর্গাপুজোর সময় ফুটবল ম্যাচ হোক বা বড়দিনের সন্ধ্যা থেকে নতুন বছরের আবাহনের রাত—সব ক্ষেত্রেই নিরাপদ থেকেছে কল্লোলিনী কলকাতা।
এদিকে মহানগরীর নিরাপদে থাকা নিয়ে 🐼নানা গুণী মানুষ একাধিক কথা তুলে ধরেছেন। যেখানে বারবার উঠে এসেছে—তিলোত্তমা কলকাতা সবচেয়ে নিরাপদ। এই বিষয়ে বিশিষ্ট সঙ্গীতশিল্পী ইমন চক্রবর্তী বলেছেন, ‘আমি বহু জায়গায় ভ্রমণ করেছি। কিন্তু এখানে নিরাপদ অনুভব করেছি। এমনকী যখন আমি রাতের পথের পথিকও। আমি দেখেছি এবং দেখাতে পারি ২৫ এবং ৩১ ডিসেম্বর রাত কলকাতা পুলিশ খুব সুন্দরভাবে ভিড় সামলেছে।’ শহরের বিশিষ্ট নাগরিকরা যখন সেখানের নিরাপত্তা বা প্রশাসনিক দক্ষতার প্রশংসা করেন তখন বুঝতে হবে তেমন কিছু তাঁদের নজরে অবশ্যই পড়েছে। তাই তাঁরা প্রশংসা করছেন।
অন্যদিকে কলকাতা শুধু আনন্দের শহর নয়, এটা মানসিকভাবে সুখানুভূতির শহর। এই বিষয়ে বিশিষ্ট সমাজকর্মী রত্নাবলী রায়ের বক্তব্য, ‘আমার বাড়ির কাছ♋ে ২৩টি কাফে এবং রেস্তোরাঁ রয়েছে। যেখানে পুরুষ–মহিলা সবাই একসঙ্গে কাজ করেন। এমনকী ভয় বা হুমকি না পেয়েই তাঁরা কাজ করেন। এখানের লিট্টি চোখা, চপ মুড়ির মধ্যে একটা অনাবিল আনন্দ রয়েছে। তাই আমাদের প্রত্যেকের উচিত সচেতন থাকা যাতে আমাদের শহর এমনই নিরাপদ থাকে।’ সুতরাং এনসিআরবি’র রিপ𒊎োর্ট যে সঠিক তথ্যই তুলে ধরেছিল সেটা বিশিষ্টজনদের কথাও আরও একবার প্রমাণ হল।
আরও পড়ুন: ‘মমতা দিদির দীর্ঘায়ু, সুস্থতা কামনা করি’💫, মুখ্যমন্ত্রীর জন্মদিনে প🥂্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা
এছাড়া বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে বারবার শোনা গিয়েছে, ধর্ম যার যার উৎসব সবার। উৎসবে মেতে উঠতে তিনি মানুষজনকে উৎসাহিত করেন। তবে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থাও করেন♉। এই বিষয়ে ব্রিটিশ কাউন্সিলের পূর্ব ও উত্তর–পূর্ব ভারতের অধিকর্তা দেবাঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, ‘আমি বহু মহিলা সহকর্মী এবং বিদেশের নাগরিক, যাঁরা কলকাতায় ঘুরতে এসেছেন তাঁদের মুখ থেকে শুনেছি কলকাতা খুব নিরাপদ শহর। তাছাড়া আমি নিজে অঙ্গাঙ্গ🔯িকভাবে জড়িত এখানের ভালবাসা এবং সংস্কৃতির সঙ্গে। আর এইসবই এই শহরকে নিরাপদ করে তুলেছে।’