তিনি এবারের লোকসভা নির্বাচনে জিততে পারেননি। বুকে পা তুলে রাজনীতি করব থেকে শুরু করে মুখ্যমন্ত্রীর বাপবাপান্ত করে বারবার বিতর্কে জড়িয়েছেন। নির্বাচন কমিশনকেও ‘মেসোমশাই’ বলতে পিছপা হননি। এখন দলের অন্দরের কাঠিবাজি এবং ষড়যন্ত্রের জেরেই তাঁর পরাজয় বলে দাবি করেছেন। প্রাতঃভ্রমণে বেরলেই নানা কথা তিনি সাংবাদিকদের বলে থাকেন। তাতে একদিকে বিতর্ক এবং অপরদিকে অস্বস্তি শুরু হয় অনেকের। হ্যাঁ, তিনি বর্ধমান–দুর্গাপুরের পরাজিত বিজেপি 🍌প্রার্থী দিলীপ ঘোষ। যাঁর হেরে যাওয়াতে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের অনেক নেতারই মন খারাপ হয়েছে। তবে হারের পর থেকে লাগাতার কথার ফুলঝুরি ছোটাচ্ছিলেন দিলীপ ঘোষ। যদিও দিলীপ ঘোষ এখন থেকে আর প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে সংবাদমাধ্যমকে কিছু বলবেন না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
কিন্তু কেন এমন সিদ্ধান্ত নিলেন? তাঁকে আবারও কিছু জানার জন্য নানা প্রশ্ন করা হয়। কিন্তু নয়াদিল্লি থেকে ফিরে এইসব প্রশ্নের জবাব না দিয়ে দিলীপ ঘোষের মন্তব্য, ‘আর কিছু বলব না।🔯’ এমন সিদ্ধান্তের কারণ জানতে চাইলে নয়াদিল্লি থেকে ফেরার পরই দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘কোনও বাইট দেব না। যা বলার এবার থেকে পাবলিককে বলব। 🐓আমি আর কিছু সংবাদমাধ্যমকে বলব না। যা বলার জনতাকে বলব।’ এটা আবার নতুন কোন কৌশল? তা নিয়ে রাজ্য–রাজনীতিতে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তাহলে কি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কোনও বার্তা পেলেন দিলীপ? তাই হয়তো আর কোনও মন্তব্য করতে চান না তিনি।
আরও পড়ুন: লোকসভার স্পিকার নির্বাচন কবে হবে? নির্দেশিকা জারি ꧒করলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু
আবার কি রাজ্য সভাপতি হবেন দিলীপ? তাঁকে কি বিরোধী দলনেতার পদ দেওয়া হতে পারে? এমন সব প্রশ্নও রাজ্য–রাজনীতিতে ঘুরপাক খাচ্ছে। মেদিনীপুরের বদলে এবার লোকসভা ভোটে বর্ধমান-দুর্গাপুর থেকে দিলীপ ঘোষকে প্রার্থী করেছিল বিজেপি। কিন্তু বর্ধমান-দুর্গাপুর আসনে হেরে যান দিলীপ ঘোষ। দিলীপ ঘোষকে হারিয়ে জয়ী হন তৃণমূলের হেভিওয়েট প্রার্থী কীর্তি আজাদ। লোকসভা নির্বাচনে হারের পরই নিজের দলের একাংশকে দুষে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন দিলীপ ঘোষ। তিনি তোপ দাগেন, ‘লোকে হারা আসন জেতার জন্য প্ল্যানিং করে। এখন জেতা আসন হারাবার জ𝔍ন্য প্ল্যানিং হয়েছে।’ লোকসভা নির্বাচনে হেরে গিয়ে নয়াদিল্লির সাংসদ বাংলো ছাড়তে হয়েছে দিলীপ ঘোষকে। এখন কলকাতায় ফিরে এসে♕ছেন দিলীপ ঘোষ।
আর কী জানা যাচ্ছে? এখন এনডিএ মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পেয়েছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। ‘এক ব্যক্তি এক পদ’ নীতি বিজেপি মেনে চলে। তাই সদ্য কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী হওয়া সুকান্ত মজুমদারকে রাজ্য সভাপতির পদ ছেড়ে দিতে হবে বলেই খবর। সেখানে বিজেপির অন্দরের গুঞ্জন দলের রাজ্য সভাপতি পদে প্রত্যাবর্তন হতে পারে দিলীপ ঘোষের। তাছাড়া আরএসএস চিঠি লিখে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে জানিয়ে দিয়েছে, মেদিনীপুর বিধানসভার উপনির্বাচনে দিলীপ ঘোষকে প্রার্থী করে বিরোধী দলনেতা করা হোক। কোনট🅷ি হবে সেটা এখনও চূড়ান্ত নয়। তবে এবার দিলীপ ঘোষ নয়াদিল্লি থেকে ফিরে ‘আর কিছু বলব না’ মন্তব্য করার পর এমন গুঞ্জনই শুরু হয়েছে।