মহাষষ্ঠী থেকে মহাসপ্তমী পর্যন্ত যে ঠাণ্ডা মেজাজ দেখা গিয়েছিল তা এখন নেই। অর্থাৎ নিম্নচাপের জেরে বৃষ্টি নেই। সেটা বাংলাদেশ হয়ে উত্তরপূর্ব ভারতের দিকে চলে গিয়েছে। তার জেরে মহাষ্টমীর সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কিছুটা কমল কলকাতা–সহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায়। আগামী দিনে ধীরে ধীরে উত্তুরে হাওয়া ঢুকবে গোটা পশ্চিমবঙ্গে। সুতরাং শীতের হিমেল পরশের পদধ্বনির ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, শনিবার সকালে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৩.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চলতি অক্টোবর মাসে এটাই সব থেকে কম সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে পারদ আরও কিছুটা কম ছিল। পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, আসানসোল, পানাগড়, শ্রীনিকেতনে এদিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২১ থেকে ২২ ডিগ্রিতে ঘোরাফেরা করেছে। গোটা উত্তরবঙ্গ আর বীরভূম, মুর্শিদাবাদের কিছু অংশ থেকে বিদায় নিয়েছে বর্ষা। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই গোটা রাজ্য থেকে বর্ষা বিদায় নেবে।আর আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, বর্ষা বিদায় নিলেই উত্তুরে হাওয়া ঢুকে পড়বে রাজ্যের বায়ুমণ্ডলে। গোটা পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে শীত শীত অনুভূতি হতে শুরু হবে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই সেখানে সর্বনিম্ন পারদ ২০ ডিগ্রির নীচে নেমে যাবে। সোমবার পর্যন্ত বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা এখনও রয়েছে কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী জেলাগুলিতে।পরের সপ্তাহের শেষে বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে। মনে করা হচ্ছে ওই নিম্নচাপটির সরাসরি কোনও প্রভাব এই রাজ্যে পড়বে না। উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির বিশেষ সম্ভাবনা আর নেই। ফলে সেখানে খুব দ্রুত সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নামতে পারে। পাহাড় তো বটেই, ডুয়ার্সেও তাপমাত্রা নামতে পারে।