জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা হল মাধ্যমিক। আর মাধ্যমিকের উত্তরপত্রে কয়েকজন পরীক্ষার্থী লিখেছে অশ্রাব্য গালিগালাজ! যা দেখে স্তম্ভিত মধ্যশিক্ষা পর্ষদের আধিকারিকরা। অভিভাবকরাও হতবাক হয়ে গিয়েছেন। পাশাপাশি ক্ষুব্ধ হয়েছেন অনেক অভিভাবক। সন্তানদের এরকম খাতা দেখার পর অনেক অভিভাবকই পর্ষদ আধিকারিকদের সামনেই সন্তানদের মারধর ক𓄧রতে শুরু করেন। কিন্তু, কেন এরকমটা হল তা কিছুতেই ভেবে পাচ্ছেন না আধিকারিকরা।
করোনা পরিস্থিতির কারণে গত বছর মাধ্যমিক পরীক্ষা হয়নি। প্রায় দু'বছর অনলাইনে চলেছে ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনা। তবে এই বছর করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসায় মাধ্যমিক পরীক্ষা হয়েছে। এখন উত্তরপত্র মূল্যায়ন চলছে সেই কাজ প্রায় শেষের দিকে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে জুনের প্রথম সপ্তাহে মাধ্যমিকের ফল প্রকাশ করা হতে পারে। তবে এবার মাধ্যমিকের উত্তরপত্রে বেশ কয়েকজন পরীক্ষার্থীকে উত্তরের জায়গায় গালিগালাজ লিখতে দেখা গিয়েছে। যা নজিরবিহীন বলে মনে করছেন পর্ষদের আধিকারিকরা। শুধু তাই নয়, অনেকে আবার পরীক্ষায় পাশ করিয়ে দেওয়ার আর্জি উত্তরপত্রে জানিয়েছেন। মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সূত্রের খবর, শুধুমাত্র গালিগালাজ লিখে পাতার পর পাতা ভরিয়েছে বেশ কয়েক জন পরীক্ষার্থী। বিষয়টি নজরে আসার পরে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে সংশ্লিষ্ট পড়ুয়াদের অভিভাবকদে💧র ডেকে পাঠানো হয়। এরপর ওই সমস্ত পরীক্ষার্থীদের খাতা তাদের অভিভাবকদের দেখানো হয়। তা দেখে স্তম্ভিত হয়ে যা🌊ন অভিভাবকরাও।
সূত্রের খবর, এক মহিলা অন্যের বাড়িতে কাজ করে সংসার চা🅰লান। সন্তানকে পড়াশোনা করাচ্ছেন। তার স্বামী নেই। সেই মহিলার সন্তান মাধ্যমিকের খাতায় অশ্রাব্য গালিগালাজ লিখেছে। বিষয়টি জানার পরেই তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন। বিশেষজ্ঞদের মতে, গত দু'বছর ধরে করোনার কারণে পড়াশোনা থেকে পড়ুয়াদের দূরত্ব তৈরি হয়েছে। অনলাইনে পড়াশোনা চালু থাকলেও প্রত্যক্ষভাবে ক্লাসের যে চেনা ছবি তা ছিল না। যার ফলে পড়াশোনার পরিবেশ থেকে অনেকটাই দূরে চলে গিয়ে﷽ছে পড়ুয়ারা।