গতকালই প্রকাশিত হয় পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের ফল৷ চার রাজ্যেই জয় নিশ্চিত করেছে বিজেপি৷ এর মধ্যে রাজনৈতিক ভাবে বিজেপির কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জয় আসে উত্তরপ্রদেশে৷ প্রায সাড়ে তিন দশকের রীতি ভেঙে এই রাজ্যে টানা দ্বিতীয়বারের জন্য সরকার গঠন করতে চলেছে বিজেপি৷ গতবারের তুলনায় এই রাজ্যে বিজেপির আসন সংখ্যা অনেকটা কমলেও কোনও কড়া চ্যালেঞ্জ ছাড়াই এই রাজ্য নিজেদের দখলে রাখতে সক্ষম হয়েছে গেরুয়া শিবির৷ এই জয় নিয়ে এবার এদিন মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তাঁর মতে, এই ফলাফল আগামী লোকসভায় প্রতিফলিত হবে না৷ উল্লেখ্য, ভারতীয় রাজনীতিতে প্রচলিত একটি কথা রয়েছে, দিল্লি দখলের পথ উত্তরপ্রদেশ হয়ে যায়৷ তবে এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বনꦍ্দ্যোপাধ্যায় বিজেপির উত্তরপ্রদেশ জয়কে সেই অর্থে পাত্তা দিতে নারাজ৷
মমতা এদিন বলেন, ‘এই রায় মানুষের রায় নয়৷’ তিনি অভিযোগ করেন, উত্তরপ্রদেশ-সহ চার রাজ্যে কারচুপি করে ভোটে জিতেছে বিজেপি৷ বাজেট নিয়ে বিধানসভায় এক সংবাদিক বৈঠকে মমতা এদিন আরও বলেন, ‘উত্তরপ্রদেশে ইভিএম লুঠের মত ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরেও কেন ফরেনসিক পরীক্ষা করা হল না আমার জানা নেই৷ অখিলেশকে ওখানে জোর করে হারানো হয়েছে৷ উত্তরপ্রদেশের নির্বাচনের ফলাফল মানুষের রায় নয়৷ কারচুপির পক্ষে রায় দিয়েছে৷’ প্রসঙ্গত🀅, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে উত্তরপ্রদেꦆশ গিয়ে অখিলেশের হয়ে দুই দফায় প্রচার করে এসেছিলেন৷ এই আবহে মমতা বলেন, ‘অখিলেশ যাদবের দুঃখ পাওয়া উচিত না। আগেরবার অখিলেশএর ভোটের হার ২০ শতাংশ ছিল। তা এবার বেড়ে ৩৭ শতাংশ হয়েছে।’
এরপর মমতা বলেন, ‘কংগ্রেস চাইলে আমরা সবাই একসঙ্গে লড়তে পারি (২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন)। আপাতত আক্রমনাত্মক হবেন না, ইতিবাচক হোন। এই জয় (৪টি রাজ্যে বিধানসভা🥃 ভোট) বিজেপির জন্য বড় ক্ষতি হবে। এটি (২০২২ নির্বাচনের ফলাফল ২০২৪ সালের নির্বাচনের ভাগ্য নির্ধারণ করবে) অবাস্তব।’