পুরভোটে এবার একেবারে বাম্পার জয় পেয়েছে তৃণমূল। শিলিগুড়ি, বিধাননগর, চন্দননগর, আসানসোলের পাশাপাশি ১০৪টি পুরসভাই বর্তমানে তৃণমূলের দখলে। দলের অন্দরে যাবতীয় ক্ষোভকে সামাল দিয়ে, বিক্ষুব্ধ নির্দলদের দূরে রেখে একের পর এক পুরসভায় ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল। আর এবার পুরসভার চেয়ারম্যান নিয়োগের পালা। আর তৃণমূল সূত্রে খবর, সেই চেয়ারম্যান নিয়োগের গোটা বিষয়টি খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো নিজেই নজরদারি চালিয়েছেন। এমনকী ক্রশ চেকও করা হয়েছে বার বার। কোথাও যাতে চেয়ারম্য়ানকে ঘিরে দলের অন্দরে কোনও ক্ষোভ না থাকে সেটাও নিশ্চিত করা হয়েছে। তৃণমূল সূত্রে খবর, সোমবারই , পুরসভার চেয়ারম্যানদের নাম ঘোষণা হতে পারে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, চেয়ারম্য়ান ও ভাইস চেয়ারম্যানদের তালিকা খুঁটিয়ে দেখেছি।ক্রস চেক করেছি। দু চারটে চেঞ্জ করেছি। তবে কোন পুরসভায় চেয়ারম্য়ানের নাম তিনি বদলেছেন সেব্যাপারে সরাসরি কিছু জানাননি। তবে এই তালিকাকে ঘিরে ইতিমধ্যেই জেলায় জেলায় জল্পনা তুঙ্গে উঠেছে। তবে দলের একাংশের মতে চেয়ারম্যান যেই হোন তাঁকে সবরকমভাবে সহযোগিতা করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হবে। যেমন কোচবিহারের কথাই ধরা যাক। সেখানে যদি প্রাক্তন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষকে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়া হয়, তবে অন্য শিবিরের নেতা পার্থপ্রতীম রায়ের সঙ্গে তাঁর বিবাদ যাতে না হয় সেটাও নিশ্চিত করার জন্য় সব উদ্যোগ নেবে দল। মোটের উপর দলীয় দ্বন্দ্বের প্রভাব যাতে পরিষেবায় না পড়ে সেব্যাপারেও এবার কড়া মনোভাব নিতে পারে দল।