লেটার হেডে চাকরির সুপারিশ করতে বারণ করলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার তৃণমূলের বিশেষ অধিবেশনে তিনি বলেন, জরুরি প্রয়োজনে মুখোমুখি দেখা করে কথা বলুন। কিন্তু চিঠি বা হোয়াটসঅ্যাপে নয়। মমতার মন্তব্য নিয়ে তৃণমূলের অন্দ🀅রে - বাইরে শুরু হয়েছে জল্পনা।
এদিন মমতা বলেন, ‘কোনও মন্ত্রী বা বিধায়ক নিজেদের প্যাডে চাকরির সুপারিশ করে চিঠি দেবেন না। কেন বলছি বলুন তো? আমি শুনেছি। বরকতদা যখন মন্ত্রী ছিলেন, একটা চিরকুটে একটা কিছু লিখেছিলেন। সেটা নিয়ে খুব লেখালিখি হয়েছিল। মুখে কথা বলুন। ফোনেও সব বলবেন না। হোয়াটসঅ্যাপ করছেন। সেখান থেকেও সব তুলে নিচ্ছে। জে🍰লায় জেলায় আইবির লোকেরা বিজেপি। ফেসটাইমে কথা বলবেন, তাও কম কথা বলবেন। আর্জেন্ট কথা থাকলে সামনাসামনি গিয়ে বলবেন’।
জলপাইগুড়ি কমার্স কলেজে অধ্যক্ষের ‘বার ডান্সার’ মন্তব্যে তদন্ত কমিটি গঠন
কিন্তু কেন চিঠি দিতে বারণ করলেন মমতা? রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে প্রাথমিক নিয়োগদুর্নীতিতে সিবিআইয়ের অন্যতম হাতিয়ার হ💝য়ে উঠেছে বিধায়কদের দেওয়া সুপারিশের তালিকা। ২০১৬ সালে প্রাথমিকে নিয়োগের জন্য শাসকদলের সমস্ত বিধায়কের কাছ থেকে অন্তত ৫ জনের নামের তালিকা চায় শিক্ষা দফতর। সেই মতো রাজ্যের সমস্ত বিধায়ক লেটারহেডে নামের তালিকা জমা দিয়েছিলেন। অনেকে ৮ – ১০ জনের তালিকা দিয়েছেন বলেও সিবিআই সূত্রে খবর। তালিকা দেওয়ার কথা মেনে নিয়েছেন একাধিক বিধায়ক। আর এতে আরও চাপ বেড়েছে সরকারের ওপরে। সম্ভবত সেজন্যই নিয়োগপ্রক্রিয়া শুরুর আগেই লিখিত সুপারিশ না করতে সতর্ক করলেন মমতা।