বিতর্কের সূত্রপাত হয়েছিল পুরভোটের প্রার্থী তালিকা নিয়ে। এরপর সেই বিতর্ক আরও অনেক দূর গড়ায়। ‘এক ব্যক্তি এক পদ’ নিয়ে দাবি তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হয়েছিলেন তৃণমূলের যুব ব্রিগেড। আর এই নিয়ে কালীঘাটে শনিবারের বৈঠকে বিরক্তি প্রকাশ করেন স্বয়ং দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানা গিয়েছে, বৈঠকে বিতর্ক প্রসঙ্গে মমতা বলেন, ‘যা হয়েছে তা ভালো হয়নি। আমাদের দলে এর আগে কখনꦏও এই ধরনে ജঘটনা ঘটেনি।’
উল্লেখ্য, দলে প্রথমবার ‘এক ব্যক্তি, এক পদ’-এর পক্ষে সওয়াল করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর আইপ্যাকের সা𒈔থে তৃণমূলের দূরত্ব স্পষ্ট হতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ইস্যুতে সরব হন অভিষেক ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত একাধিক যুব নেতা। যা নিয়ে ফিরহাদ হাকিমের মতো বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতারা বিড়ম্বনায় পড়েন। সোশ্যাল মিডিয়ায় দ্বন্দ্ব শুরু হয় ‘অভিষেকপন্থী’ ও ‘মমতাপন্থী’দের মধ্যে।
এদিকে শনিবারের বৈঠকে নাকি চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেল থেকে ‘এক ব্যক্তি, এক পদ’ নীতির পক্ষে করা পোস্ট প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন। তিনি দাবি করেন যে তি๊নি সেই পোস্ট করেননি। এদিন ফের একবার আইপ্যাকের দিকে আঙুল তোলেন তিনি। তবে অভিষেক নাকি সেই কথা মানতে চাননি༒। সেই মমতাই নাকি বলেন, ‘কে, কী করেছে, আমি সব জানি। এই বিষয়ে আর কিছু জানার বাকি নেই।’
এদিকে বৈঠকে নাকি আইপ্যাকের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখা নিয়ে আলোচনা হয়। এই বিষয়ে নাকি মমতা কিছুটা অনীহা প্রকাশ করেছেন। তবে এদিন বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে শীঘ্রই প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে নিজে কথা বলবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভবিষ্যতে আইপ্যাক যদি তৃণমূলের সাথে থাকেও, সেই ক্ষেত্রে তৃণমূলের সাথে আইপ্যাকের চুক্তি, কাজ করার ধরন, সব কিছুর উপরই নজর থাকবে খোদ মমতার। জানা যায়, সম্প্রতি মেসেজ বিনিময় হয়েছে মমতা-পিকের। প্রশান্ত কিশোর নাকি মমতাকে মেসেজ করে লেখেন, ‘বাংলা, ত্রিপুরা 🎃এবং মেঘালয়ে তৃণমূলের সঙ্গে কাজ করবে না আই প্যাক।’ সূত্রের খবর, এই মেসেজের জবাবে মুখ্যমন্ত্রী প্রশান্ত কিশোরকে উত্তর দেন, ‘থ্যাঙ্ক ইউ।’ এরপর থেকেই তুঙ্গে তৃনমুল-আই প্যাক বিচ্♊ছেদের জল্পনা।