চিকিৎসকের বারণ রয়েছে তাই বাড়ির বাইরে বেরোনো নিষেধ রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রর। তাই এবার রাজ্যের বাজেট পেশ করবেন না তিনি। রাজ্যপালের কাছে অনুমতি নিয়ে এবার বাজেট বক্তৃতা দেবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিধানসভা নির্বাচনের আগে আজ, শুক্রবার পেশ করা হবে ভোট অন অ্যাকাউন্ট বাজেট।জানা গিয়েছে, ভোটের কথা মাথায় রেখেই নির্বাচনের আগে শেষ বাজেটে আরও জনকল্যাণমূলক প্রকল্প ঘোষণা করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। খাদ্যসাথী, স্বাস্থ্যসাথী, সবুজসাথী, রূপশ্রী, কন্যাশ্রী, সমব্যথীর মতো প্রকল্পে বাড়তে পারে বরাদ্দ। তবে বাজেটে সারা বছরের পরিকল্পনা ঘোষণা করা হলেও খরচের অনুমোদন নেওয়া হবে আগামী তিন মাসের। যা ভোট অন অ্যাকাউন্ট নামে পরিচিত।বিধানসভায় না থাকলেও বাড়ি থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বাজেটে অংশ নেবেন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। এদিন দুপুর ২টো নাগাদ বিজনেস অ্যাডভাইসারি কমিটির বৈঠক রয়েছে। তার পর বিকেল ৩টে নাগাদ রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠক। সেই বৈঠক শেষে বিকেল ৪টে নাগাদ বাজেট পেশ শুরু করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রীএদিকে, বাজেট পেশ নিয়েও তৈরি হয়েছে বিতর্ক। এদিন বিধানসভায় বাজেট পেশ হতে চলেছে প্রারম্ভিক রাজ্যপালের ভাষণ ছাড়াই। আর তার পাশাপাশি এবারের বাজেট পর্ব বয়কটের ডাক দিয়েছে রাজ্যের দুই বিরোধী দল বাম ও কংগ্রেস। তাদের অভিযোগ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচনী রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপূরণ করতে গিয়ে সংসদীয় রীতিনীতি শিকেয় তুলে বিধানসভায় ভোট অন অ্যাকাউন্ট বাজেট পেশ করা হবে।উল্লেখ্য, বিধানসভায় কোনও নতুন অধিবেশন রাজ্যপালকে দিয়ে আহ্বান করিয়ে তাঁর ভাষণের মধ্য দিয়ে শুরু করা হয়। এটাই নিয়ম। কিন্তু লকডাউন শুরুর পর গত মার্চ মাস থেকে অধিবেশন সমাপ্ত না করে মুলতবি করে রেখে দিয়েছেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। বিরোধীরা দাবি করা সত্ত্বেও নজিরবিহীনভাবে অধিবেশন বসানো হয়নি, অথচ অধিবেশন সমাপ্ত ঘোষণাও করা হয়নি। তাই এই পরিস্থিতিতে ফের রাজ্যপালের ভাষণের সম্ভাবনা নেই।অধিবেশন না বসানোয় রাজ্যের আইন–শৃঙ্খলা, কর্মসংস্থান নিয়ে বিধানসভায় সরব হওয়ার সুযোগ পাননি বলে অভিযোগ করেছেন বিরোধী দলের নেতারা। বামফ্রন্ট পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘রাজ্যপাল বাজেট ভাষণ রাখছেন না— এতে বিরোধীদের কোনও সুবিধা হল না। বরং আমরা সরকারের সমালোচনা করার, ধাপ্পাবাজিগুলো ধরিয়ে দেওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হলাম।’ বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান জানিয়েছেন, ‘বিরোধীদের অধিকার এভাবে কেড়ে নেওয়ার প্রতিবাদে আমরা ভোট অন অ্যাকাউন্ট বয়কট করতে বাধ্য হচ্ছি। শুক্রবারের বিএ কমিটির বৈঠকেও আমরা যোগ দেব না।’