ঘূর্ণিঝড় ইয়াস আছড়ে পড়ার অপেক্ষায় প্রহর গুনছে রাজ্যের মানুষ।এই অবস্থায় দলীয় বিধায়কদের রাজ্যের মানুষের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।পরিস্থিত🐓ি সর্বক্ষণ পর্যবেক্ষণ করতে রাতভর কন্ট্রোলরুমে থাকার পরিকল্পনা রয়েছে মুখ্যমন⛎্ত্রীর।এবার দলীয় বিধায়করাও যাতে মাঠে নেমে কাজ করে, এবার সেই বার্তাই দিলেন তিনি।
ম🌃ুখ্যমন্ত্রী এদিন দলীয় বিধায়কদের স্পষ্ট নির্দেশ দেন, উপকূলবর্তী এলাকা থেকে মানুষকে সরিয়ে নিরাপদ স্থানে নিয়ে আসতে হবে। যতক্ষণ না পর্যন্ত দুর্যোগ কাটছে, ততক্ষণ নিজের বিধানসভা এলাকায় তীক্ষ্ণ নজর রাখতে হবে। ঘূর্ণিঝড়ের ফলে ভেঙে পড়া ঘরবাড়ি মেরামত করার ব্যবস্থা করতে হবে। সাধারণ মানুষের খাবারের জন্য শুকনো খাবার মজুত রাখতে হবে। ইতিমধ্যে🌊 সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকায় গ্রাম পঞ্চায়েতগুলির জন্য ১০ কুইন্টাল চাল ও শুকনো খাবার পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও প্রয়োজনীয় আরও ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে।
আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, বুধবার দুপুরের মধ্যেই আছড়ে পড়তে💯 পারে ইয়াস ।বুধবার সকাল ১০টা থেকে ১টার মধ্যে স্থলভাগের ওপর আছড়ে পড়তে পারে ইয়াস।স্থলভাগে আছড়ে পড়ার সময়ে এর গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১৫৫ থেকে ১৬৫ কিলোমিটার। ইতিমধ্যে দুই মেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, কলকাতা, হাওড়া ও হুগলিকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধারকাজ করার জন্য মজুত রয়েছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ও সেনাকে। এই পরিস্থিতিতে যে সব এলাকায় ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে, সেই সব এলাকার বিধায়কদেরও সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।