নীতি আয়োগের বৈঠকে তাঁর মাইক্রোফোন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী যে অভিযোগ করেছেন তা বিভ্রান্তিকর ও অসত্য। কেন্দ্রের তরফে এক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে এমনই দাবি করল প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো। এবিষয়ে মুখ খুলে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্𓂃মলা সীতারমনও মমতার বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের অভিযোগ তুলেছে।
আরও পড়ুন - চাℱকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে ১৫ বছ𝄹রের কিশোরীকে ধর্ষণ করল ৬২ বছরের TMC নেতা
পড়তে থাকুন - তৃণমূল জไমানায় রাজ্যের ১৯টি পুরসভায় নিয়োগের অর্ধেকই ভুয়ো, চার্জশিট দিয়ে জানাল CBI
পিআইবির তরফে এক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যের ওপর ‘বিভ্রান্তিকর’ লিখে স্টাম্প মেরে দেওয়া হয়েছে। সঙ্গে লেখা হয়েছে, ‘নীতি আয়োগের গভর্নিং কাউন্সিলের ৯ম বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মাইক্রোফোন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে দা൲বি করা হচ্ছে। পিআইবি এই দাবির সত্যতা খতিয়ে দেখেছে। ১. এই দাবি বিভ্রান্তিকর। ২. ঘড়িতে দেখানো হয়েছিল যে তাঁর জন্য নির্ধারিত সময় শেষ হয়ে গিয়েছে। তার পরও তাঁকে থামাতে কোনও বেল বাজানো হয়নি।’
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মিথ্যা বলছেন বলে দাবি করে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন সংবাদসংস্থা ANIকে বলেন, ‘মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরহিত্যে নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগদান করতে এখানে এসেছিলেন। তিনি যখন বলছিলেন আমরা শুনছিলাম। প্রত্যেক মুখ্যমন্ত্রীর জন্য একটি নির্দিষ্ট সময় বরাদ্দ ছিল। সেটা প্রত্যেক টেবিলের সামনে থাকা স্ক্রিনে দেখা যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সংবাদমাধ্যম🌠কে বলেছেন যে তাঁর মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা।’
আরও পড়ুন - পার্থদের জামিনে💙র মামলায় বিরাট মোড়! মܫুখ্য়সচিবের অনুমোদন ছাড়াই করা যাবে শুনানি
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘এই বৈঠকের আয়োজক ছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। কোনও মুখ্যম🐟ন্ত্রীর বক্তব্য রাখার সময় শেষ হয়ে এলে রাজনাথজি নিজের মাইক্রোফোনে একবার টোকা দিয়ে তাঁকে সতর্ক করছিলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন জানলেন যে তাঁর সময় শেষ হয়ে এসেছে তিনি অতিরিক্ত সময় বলার জন্য সময় চাইতে পারতেন। তিনি যতক্ষণ খুশি বলতে পারতেন। অনেক মুখ্যমন্ত্রীই বাড়তি সময় চেয়েছেন। কিন্তু বৈঠক থেকে পালাতে তিনি সেটাকে শিখণ্ডি করলেন। তার পর তিনি যে ভাবে মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল বলে দাবি করেছেন তা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। আমি আশা করব মিথ্যার ভাষ্য তৈরি না করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সত্যিটা স্বীকার করবেন।’