ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ไডে তোলপাড় রাজ্য। আতঙ্কে দিন কাটাছেন ভুয়ো ভ্যাকসিন প্রাপকরা। এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার আধার কার্ড নম্বর জালিয়াতি করে ভ্যাকসিন নেওয়ার ঘটনা প্রকাশ্যে এল। এক জন্যের আধার কার্ডে অন্য জন ভ্যাকসিন নেওয়ার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এমনকী, শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতাল থেকে টিকার জাল শংসাপত্র জারি করার অভিযোগও উঠেছে।
কলেজ স্ট্রিটের বাসিন্দা কাজল পাল নামে এক মহিলার অভিযোগ, তিনি কো-উইন পোর্টালে নিজের আধার কার্ড নথিভুক্ত করতে গিয়ে দেখেন, তাঁর আধার নম্বরে আগেই অন্য কেউ ভ্যাকসিন নিয়ে নিয়েছেন। কাজলের অভিযোগ, টিকা নেওয়ার জন্য তিনি কো-উইন অ্যাপে নিজের আধার কার্ড দিয়ে নথিভুক্ত করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে আধার নম্বর দিতেই তিনি দেখেন, তাঁর আধার নম্বরে বিনোদ চৌধুরী নামের অপর এক ব্যক্তি টিকা নিয়ে নিয়েছেন। এই ঘটনায় আতঙ্কে ভুগছেন কাজ। তাঁর প্রশ্ন, যাঁর আধার কার্ড নথিভুক্ত হবে, শুধু তিনিই টিকা নিতে পারবেন। তাহলে কীভাবে অন্য কেউ তাঁর আধার নম্বরে টিকা নিলেন? সেক্ষেত্রে ভবিষ্যতে আর টিকা নিতে পারবেন কিনা, তা নিয়ে🍌 দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কাজলদেবী।
ওদিকে ফুলবাগানের বাসিন্দা অপর এক তরুণী সোমা মণ্ডলের অভিযোগ, তিনি শহরের এক বেসরকার🧜ি হাসপাতাল থেকে টিকা নিয়েছি🍌লেন। কিন্তু শংসাপত্র হাতে পাওয়ার পর তিনি খেয়াল করেন, তার মধ্যে অন্য কারোর আধার নম্বর দেওয়া রয়েছে।
তাঁর অভিযোগ, তিনি কো-উইন পোর্টালে নিজের নাম দিয়ে সার্চ করতে গিয়ে দেখেন, তার নাম নিচ্ছে না। প্রথমে তিনি ভেবেছিলেন কোনও যান্ত্রিক গোলোযোগের কারণে হয়ত অ্যাপটি খুলছে না। কিন্তু পরে তিনি বুঝতে পারেন গোটা বিষয়টিই ভুয়ো। এই ব🎀িষয় তিনি ওই হাসপাতালে জানালে, তাকে একটা শংসাপত্র দেওয়া হয়। সেখানে তিনি দেখেন, তাঁর আধার নম্বরের বদলে অন্য কারও আধার নম্বর দেওয়া রয়েছে। বিষয়টি তিনি তৎক্𒐪ষণাৎ বেলেঘাটা থানায় জানান। অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। গত দু'একদিন ধরে ভুয়ো টিকাকরণ কাণ্ডে উত্তাল হয়ে উঠেছে গোটা রাজ্য। এবার আধার কার্ডে ভ্যাকসিন নেওয়ার ক্ষেত্রে জালিয়াতি হচ্ছে কি না, তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।