খুব বেশি হলে ২০০ বর্গফুটের একটা ঘর। তাতেই চলে পুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র। এই বাড়ির একতলায় জঞ্জাল অপসারণ ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের অফিস। আর তার বাইরে রাখা ময়লার গাড়ি। এই ওয়ার্ডের জনসংখ্যা প্রায় ৭০ হাজার। বেশিরভাগ মানুষ নিম্নমধ্যবিত্ত। তাই দাবি উঠেছিল, একটি ঠিকঠাক নতুন স্বাস্থ্যকেন্দ্র হোক। আর তাতেই সিলমোহর দিলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম।কোথায় এই পুর স্বাস্থ্যকেন্দ্র? এই পুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি রয়েছে লেক গার্ডেন্সের বাঙুর পার্কের কাছে। এখানের স্থানীয় বাসিন্দারা নতুন স্বাস্থ্যকেন্দ্রের দাবি জানিয়েছেন। এটি কলকাতা পুরসভার ৯৩ নম্বর ওয়ার্ড। আর এই পুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রের উপর নির্ভরশীল পুরনাগরিকরা। মেয়র ফিরহাদ হাকিম এবং ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখবেন বলে জানিয়েছেন। এখন কেমন রয়েছে পুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি? এখানে পা রাখলেই দেখা যায়, দোতলা বাড়ির উপরে অপরিসর একটি ঘর। তাও ছোট। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে চলছে স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি। এই ওয়ার্ডে একদিনে ২০৬ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন। এই পরিস্থিতিতে টিকাকরণ কিংবা লালারস পরীক্ষার সুযোগ ছিল না। তাই কাউন্সিলারের ওয়ার্ড অফিসকে বিকল্প স্বাস্থ্যকেন্দ্র হিসেবে কাজে লাগিয়েছিল কলকাতা পুরসভা।এই সমস্যার কথা শুনে স্থানীয় কাউন্সিলার মৌসুমী দাস বলেন, ‘ইতিমধ্যে কাটজুনগরে একটি জমি চিহ্নিত করা হয়েছে। বড় আকারের স্বাস্থ্যকেন্দ্র তৈরি হলে এলাকার বাসিন্দাদের অনেকটা সুবিধা হবে।’ এই বিষয়টি নিয়ে মৌসুমীদেবী মেয়র ফিরহাদ হাকিম ও ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষকে জানিয়েছিলেন। এই বিষযে মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘এখানে একটি বড় স্বাস্থ্যকেন্দ্র তৈরি করার কথা ভাবা হয়েছে। খুব দ্রুত সে কাজ হবে।’