কলকাতায় বন্ধ হতে চলেছে সমস্ত হুক্কা বার। আজ, শুক্রবার এমনই নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। এমনকী যে সমস্ত হুক্কা বারের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে সেগুলি সব বাতিলও করা হচ্ছে বলে খবর। শুক্রবার 🅠কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানান, এই হুক্কা বারের কারণে যুব সমাজের ক্ষতি হচ্ছে। তাই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শুক্রবার টক টু মেয়র চলাকালীন এই কথা জানান কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
ঠিক কী বলেছেন মেয়র? আজ, শুক্রবার শহরের সমস্ত হুক্কা বার বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা পুরসভা। কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘হুক্কা বারের আড়ালে নিষিদ্ধ মাদকের ব্যবহারের অভিযোগ আসছে। মাদকে আসক্ত হয়ে পড়ছে তরুণ প্রজন্ম। তাই হুক্কা বার বন্ধের নির্𝓰দেশ দেওয়া হয়েছে। যে কেমিক্যাল দেওয়া হয়, তা স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর। মানুষের ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে। তাই লাইসেন্স বাতিল করা হবে। তারপর নতুন লাইসেন্স দেওয়া হবে না। পুলিশকে বিষয়টি দেখতে বলব। যাঁরা চালাচ্ছেন, তাঁদের অনুরোধ করব, আপনারা এটি বন্ধ রাখুন।’
আর কী জানা যাচ্ছে? শহরে রেস্তোরাঁ থাকবে, কিন্তু হুক্কা বার নয়! ♌এই নীতি নিয়েই কলকাতায় এবার নিষিদ্ধ হতে চলেছে হুক্কা বার। আর সেই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করে ফেলেছে কলকাতা পুরসভা। খুব তাড়াতাড়ি নির্দেশিকাও জারি করা হবে বলে সূত্রের খবর। এই বিষয়ে মেয়র বলেন, ‘পুলিশের সাহায্য নেওয়া হবে এবং ইমিডিয়েট ব্যবস্থা নেওয়া হবে🌺। সবাই ‘প্লেজারার্স স্মোকিং’ হিসেবে নেয়। প্রচুর অভিযোগ আসছে। অন্যান্য শহরে বন্ধ আছে। আমরাও বন্ধ করে দেব। মানুষের ক্ষতি হচ্ছে, সমাজের ক্ষতি হচ্ছে।’
কেন হঠাৎ এমন পদক্ষেপ? এই ধরনের হুক্কা বারগুলির আড়ালে মাদকের রমরমা বাড়ছে। ছেলে–মেয়ে নির্বিশেষে নেশায় আসক্ত হয়ে পড়ছে। নানা জায়গা থেকে এমন খবর আসছে বলে জানান মেয়র ফিরহাদ হাকিম। শহরে কতগুলি হুক্কা বার রয়েছে তার হিসেবও রাখা সম্ভব হচ্ছে না। কারণ, এগুলির জন্য আলাদা লাইসেন্স হয় না। সুত🐼রাং খাবারের নাম করে হুক্কা বার চালিয়ে যাচ্ছে বলে খবর মিলছে। এই বিষয়ে মেয়র বলেন, ‘শুরুতে এটা একটা ইলেক্ট্রিক সিগারেটের মতো ছিল। সব রেস্টুরেন্ট এখন করে ফেলেছে। আগে ছোট করে হতো। আমি এখন অনুরোধ করছি, ঘেরা জায়গায় হুক্কা বার বন্ধ করুন।’