চিকিৎসক নির্মল মাজির বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতি এবং অর্থ তছরুপের মামলা করা হয়। চিকিৎসক হলেও তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক। বেশ কয়েকটি হাসপাতালের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ আছে। সুতরাং তাঁর বিরু𒈔দ্ধে এমন অভিযোগ ওঠায় শোরগোল পড়ে যায় রজ্য–রাজনীতিতে। তবে সেখানে আজ, সোমবার বিধায়ক–চ🦹িকিৎসক নির্মল মাজিকে ‘ক্লিনচিট’ দিল এমপি–এমএলএ আদালত। তাঁর বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতি এবং অর্থ তছরুপের অভিযোগে মামলা দায়ের হলেও পর্যাপ্ত তথ্যপ্রমাণের অভাবে তাঁকে নিঃশর্ত মুক্তি দিল এমপি–এমএলএ আদালতের বিচারক দেবদত্ত রায় শর্মা।
তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা–মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে আগেও এমন বহু মামলা হয়েছে। তাতে গ্রেফতারও হয়েছেন। আবার জামিনে একে একে বেরিয়ে এসেছেন। তবে এখনও দু’জন মন্ত্রী জেলেই আছেন। নির্মল মাজি গ্রেফতার হননি। জেলে যাননি। চিকিৎসক নির্মল মাজির বিরুদ্ধে ৪০৯ ও ৪৩৪ ধারায় মানি লন্ডারিং ও জালিয়াতির মামলা দায়ের হয়ে ছিল। সেটার ᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚতদন্ত চলছিল। ২০১৮ সালের মেডিক্যাল কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন আর্থিক তছরুপের অভিযোগ ওঠে। তখন মামলা হয় চিকিৎসক–বিধায়ক নির্মল মাজির বিরুদ্ধে। রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে এবং তার মেডিক্যাল কাউন্সিলের সভাপতি পদের অপব্যবহার করে ব্যক্তিগত উদ্দেশ্যে ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিকেল কাউন্সিলের পাবলিক ফার্ম ব্যবহার করতেন বলে অভিযোগ উঠেছিল।
আরও পড়ুন: ‘গোটা শহরে আপনারা ১৪৪ ধারা জারি করুন’, মিছিল নিয়ে রাজ্যকে ভর্ৎসনা কলকাতা হাইকোর্টের
ওই অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা দায়ের হয় সাংসদ–বিধায়ক আদালতে। টানা সাত বছর এই মামলার জেরে তদন্ত হয়। কিন্তু আজ যখন সেই তদন্ত রিপোর্ট জমা পড়ে তখন দেখা যায়, বাস্তবের সঙ্গে মিল নেই। তদন্তে তেমন কিছু উঠে আসেনি। সুতরাং সমস্ত অভিযোগের কোনও ভিত্তি নেই। বিধাননগর এমপি–এমএলএ আদালতে এই ফৌজদারি মামলা ২০১৮ সালে দায়ের করা হয়। মামলা দা✨য়ের করেছিলেন চিকিৎসক কুণাল সাহা। এই অভিযোগে প্রমাণিত হলে নির্মল মাজির ১০ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারত। আজ সশরীরে হাজিরা দেন নির্মল মাজি। কিন্তু উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণের অভাবে নির্মꩵল মাজিকে নিঃশর্ত মুক্তি দেওয়া হয়।
এখন এই মামলা থেকে পুরোপুরি মুক্ত নির্মল মাজি। ২০১৫ সালের জুন মাসে এসএসকেএম হাসপাতালের নেফ্রোলজি বিভাগে কুকুরের ডায়ালিসিস কাণ্ডে না𓃲ম জড়িয়ে যায় বিধায়ক ন𓆉ির্মল মাজির। অভিযোগ ওঠে, তৎকালীন রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের সভাপতি নির্মল মাজি নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করে এক আত্মীয়ের কুকুরের জন্য এসএসকেএম হাসপাতালের ডায়ালিসিস ওয়ার্ডে সব ব্যবস্থা পাকা করে ফেলেছিল। ২০১৮ সালে মানি লন্ডারিং ও জালিয়াতির মামলা দায়ের হয়। যা থেকে আজ মুক্তি পেলেন।