বাংলায় ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পের টাকা এখনও বন্ধ রেখেছে কেন্দ্রীয় সরকার। আর তা নিয়ে লাগাতার সোচ্চার হচ্ছেন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা–মন্ত্রীরা। এমনকী ১০০ দিনের কাজও বন্ধ রয়েছে। এখন বাংলায় পঞ্চায়েত নির্বাচনের দামামা বেজে গিয়েছে। নির্বাচনী প্রচারে উঠে আসছে কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনার কথা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষনেতারা গরিব মানুষের টাকা আটকে রাখা নিয়ে সরব হয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে মনরেগা’র আওতায় রেশন দোকান নির্মাণের কাজ শুরু করতে চা🔯ইছে কেন্দ্রীয় সরকার। তবে একশো দিনের কাজের টাকা না ছাড়লে এই উদ্যোগ বিশ বাঁও জলে চলে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিকে এই নয়া উদ্যোগ নিয়ে আলোচনা করতে আগামী ৫ জুলাই নয়াদিল্লিতে সব রাজ্যের খাদ্য দফতরের সচিবদের ডাকা হয়েছে। এই মনরেগা’র আওতায় রেশন দোকান নিয়ে বৈঠক ডেকেছে খাদ্যমন্ত্রক। সেখানের আলোচনায় নানা ইস্যুর মধ্যে এই বিষয়টি উত্থাপন করা হবে। খাদ্যমন্ত্রকের অ্যাকশন প্ল্যানের ৮ নম্বর অ্যাজেন্ডায় এই বিষয়টি রাখা হয়েছে। এম♐নকী মনরেগার মাধ্যমে প্রত্যেকটি জেলায় ৭৫টি মডেল রেশন দোকান গড়ে তোলার কথা ভাবা হয়েছে।
অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গে মনরেগা’র টাকা বরাদ্দ বন্ধ রেখেছে নরেন্দ্র মোদীর সরকার। ফলে টাকা না ছাড়লে এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে কেমন করে? উঠছে প্রশ্ন। তাই আপাতত আলোচনা হলেও মনরেগা’র নেতৃত্বে রেশন দোকান তৈরি বিশ বাঁও জলে বলেই মনে করা হচ্ছে। কারণ এই প্রস্তাবে যদি রাজ্য রাজি হয় তাহলে মানুষই ক্ষেপে উঠবে। একশো দিনের টাকা পাইয়ে দিতে আন্দোলন করা হবে বলে নির্বাচনী সভা থেকে জানিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সুতরাং সেই টাকা না পেলে এই প্রস্তাবে রাজি হওয়া যাবে না। তাই নয়াদিল্লির বৈঠকে রাজ্যের পক্ষ থেকে বিষয়টি তোলা হতে প꧒ারে বলে সূত্রের খবর।
আরও পড়ুন: ‘আর কতদিন ধরে তদন্ত চলবে?’ অনুব্রত মণ্ডলꦗ মামল🌜ায় সিবিআইকে প্রশ্ন বিচারকের
আর কী জানা যাচ্ছে? পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর দিল্লি চলো’র ডাক দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে গিয়ে গরিব মানুষের টাকা ছিনিয়ে আনবেন। সౠেখানে বকেয়া না পেলে এই প্রস্তাবে রাজি হবে না নবান্ন। সুতরাং এই রাজ্যে মনরেগা’র আওতায় রেশন দোকান কার্যত বিশ বাঁও জলে। স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে এই নতুন ভাবনা ভাবা হয়েছে। তার জন্য রাজ্যগুলিকে চিঠিও দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। গ্রাহক ও রেশন ডিলারদের আধুনিক ব্যবস্থা থেকে নানা সুযোগ–সুবিধা থাকবে বলে কেন্দ্রীয় সরকার সূত্রে খবর। এই মডেল রেশন দোকান পরিচালনা করতে স্বনির্ভর গোষ্ঠী, সমবায় সংস্থা এবং নানা গোষ্ঠীর উপর জোর দিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার।