সংখ্যালঘু পড়ুয়াদের পড়াশোনার সুবিধার্থে রাজ্য সরকার ‘ঐক্যশ্রী’ প্রকল্প চালু করেছিল। এখন দেখা যাচ্ছে লক্ষ লক্ষ ভুয়ো আবেদন জমা পড়েছে ঐক্যশ্রীতে। আর তাই এখন মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও বিত্ত নিগমের। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই ডিআই’দের দ্রুত পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছে বিত্ত নিগম। সূত্রের খবর, সমস্ত আবেদন যাচাই করার পর যেগুলো ভুয়ো হবে অবিলম্বে সেগুলো বাতিল করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে বিত্ত নিগম। আজকের মধ্যে রিজেকশন রিকোয়েস্ট ডি আইদের বিত্ত নিগমের কাছে জমা করতে হবে। বিত্ত নিগম সূত্রের খবর, প্রায় ১৫ লক্ষ ভুয়ো আবেদন জমা পড়েছে ঐক্যশ্রীতে। এত পরিমান ভুয়ো আবেদন জমা পড়ার বিষয়টি নিয়ে কার্যত চোখ কপালে আধিকারিকদের। নিগমের স্পষ্ট নির্দেশ ভুয়ো আবেদনে টাকা গেলে তার দায়িত্ব নিতে হবে নোডাল অফিসারকেই। যদিও এ নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনই অভিযোগ পাননি বলে জানিয়েছেন সংখ্যালঘু উন্নয়ন মন্ত্রী গোলাম রব্বানী। তিনি বলেন, ‘এখনও পর্যন্ত আমার কাছে এ ধরনের কোনও অভিযোগ আসেনি। তবে দফতরের কাছে জানতে চেয়েছি। এই ধরনের অভিযোগ আসলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’অন্যদিকে, এত পরিমাণ আবেদন ভুয়ো হওয়ার খবর প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। এতে দুর্নীতির গন্ধ পাচ্ছেন বিরোধীরা। বিজেপির সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘পড়ুয়াদের স্কলার্শিপ থেকে শুরু করে ঋণ দেওয়া সরকারের সমস্ত প্রকল্পে দু-নম্বরি করা হচ্ছে।’ সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী এনিয়ে কটাক্ষ করেন শাসক দলকে। তিনি বলেন, ‘রাজ্যের যত শ্রী এবং সাথী প্রকল্প রয়েছে তার বেশিরভাগই দুর্নীতিতে ভরে রয়েছে।’ বিরোধীদের অভিযোগ, তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পরেই দুর্নীতিতে ভরে গিয়েছে রাজ্য।