তিনি রাজ্য–রাজনীতির চাণক্য। ফুলে ফুলে বিচরণ করা তাঁর বাঁ–হাতেཧর খেল। কখনও ঘাসফুল তো কখনও পদ্মফুল। বিচরণ ক্ষেত্র এমনই। তাই হঠাৎ কাউকে কিছু না জানিয়ে হঠাৎ হাজির হয়েছেন নয়াদিল্লিতে। আর এখানে এসেই তিনি নানা কথা বলে চলেছেন সংবাদমাধ্যমে। আজ, শনিবার তিনদিন হল তিনি নয়াদিল্লিতে এসেছেন। তবে রাস্তাঘাটে খুব একটা ঘুরে বেড়াতে দেখা যাচ্ছে না তাঁকে। হ্যাঁ, তিনি বিজেপি বিধায়ক মুকুল রায়। এবার এক বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যমে দাবি করলেন, তৃণমূল কংগ্রেসে কাজ করতে অসুবিধা হচ্ছে বলেই তিনি বিজেপিতে ফিরতে ▨চান।
এদিকে সোমবার রাতে কাউকে কিছু না জানিয়ে নয়াদিল্লি উড়ে এসেছিলেন মুকুল রায়। তাঁর দাবি অনুযায়ী, বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করতেই তিনি এখানে এসেছেন। তবে এখনও পর্যন্ত তাঁর সঙ্গে কোনও বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা দেখা করতে আসেননি। তিনিও যাননি। আসলে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বও চাইছেন না এখন আর মুকুল রায় বিজেপিতে ফিরে আসুন। এই বিষয়ে আজ মুকুল রায়ের বিজেপি ফিরে আসা নিয়ে রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘উনি যখন দল ছেড়েছিলেন তখন তিনি ছিলেন কেন্দ্রীয় নেতা। বিজ🌳েপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি। তাই তাঁর বিষয়ে যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেবেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্বই।’ সুতরাং এড়িয়ে গিয়ে সুকান্ত বল ঠেলে দিলেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের দিকে।
ঠিক কী বলেছেন রায়সাহেব? ছেলে শুভ্রাংশু চিন্তিত থাকলেও এসবের মধ্যে রাজনৈ꧂তিক অভিসন্ধি দেখতে পাচ্ছেন। তাই তিনি বলছেন, জোর করে বাবা মুকুল রায়কে দিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা হচ্ছে। আর মুকুল রায় বলেন, ‘আমি আগামী দিনে বিজেপির হয়ে কাজ করতে চাই। তৃণমূলে কাজ করতে অসুবিধা হচ্ছে। বিষয়টি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানিয়েছিলাম। উনি শুনেছিলেন। কিন্তু কিছু বলেননি।’ সংবাদমাধ্যমে এমন মন্তব্য করার পর তা নিয়ে জোর চর🀅্চা শুরু হয়ে গিয়েছে। আর বিজেপি নিতে ভয় পাচ♏্ছে কারণ গেরুয়া শিবিরে ফিরে আসার নেপথ্য অন্য কোনও চাল থাকতে পারে বলে নেতারা মনে করছেন।
মুকুলকে ফিরিয়ে নিলে সমস্যা কোথায়? কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক মুকু༺ল রায় আবার বিজেপিতে ফিরে এলে বড় গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব তৈরি হবে। আর এটা অন্যান্য অনেকেই মেনে নিতে পারবেন না। ফলে দল ভাঙার একটা সম্ভাবনা তৈরি হবে। এখন বিজেপিতে এলে কোনও শীর্ষপদ তাঁকে দিতে হবে। তাহলে কাকে সরানো হবে? এই প্রশ্ন দেখা দিয়েছে বিজেপির অন্দরে। ইতিমধ্যেই মুকুল রায়কে দলে ফেরানোর বিরুদ্ধে স্লোগান উঠতে শুরু করেছে। ꧒বিজেপির একাংশ নেতার দাবি, মুকুল রায়ের জন্যই রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) সুব্রত চট্টোপাধ্যায়কে পদ থেকে সরে যেতে হয়েছিল। এই টানাপোড়েনের মধ্যে রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘কর্মী–সমর্থকদের ভাবাবেগের বিষয়টি আগে ভাবতে হবে।’