আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করার পর কলকাতা পুলিশ তদন্ত করেছিল। সেই তদন্ত কেমন ছিল? তদন্ত হয়েছিল নাকি প্রমাণ লোপাট করা হয়েছিল? এই প্রশ্নগুলির উত্তর খুঁজছে সিবিআই। এই আবহে এবার আগামীকাল, মঙ্গলবার নবান্নে বৈঠক ডেকেছেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। তবে এক্ষেত্রে আরজি কর হাসপাতাল নিয়ে কোনও আলোচনা হবে না বলেই জানা গিয়েছে। এ🍌ই বৈঠকে বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রীর দাম পর্যালোচনা করতে সকলকে ডাকা হয়েছে। এখানে সংশ্লিষ্ট দফতরগুলির মন্ত্রী, অফিসার, সরকারি টাস্ক ফোর্সের সদস্য, ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধি উপস্থিত থাকবেন।
ইতিমধ্যেই আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের কাছে মুখ্যসচিবের ইমেল পৌঁছেছে। সেখানে আজ, সোমবার বিকেল ৫টায় মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবন কালীঘাটে বৈঠকে ডাকা হয়েছে। আর মঙ্গলবার খাদ্যসামগ্রীর দাম পর্যালোচনা ক🐻রতে বৈঠক ডাকা হয়েছে। তার কারণ সামনে দুর্গাপুজো। এখন যদি সবজি–আনাজের দাম কম না থাকে তাহলে মধ্যবিত্ত মানুষের নাভিশ্বাস উঠে যাবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই এই বৈঠ♈ক ডাকা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। গত ৯ সেপ্টেম্বর নবান্নে প্রশাসনিক পর্যালোচনা বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, দুর্গাপুজোর আগে জিনিসপত্রের দামবৃদ্ধির প্রবণতা দেখা দেয়। তাই পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে বৈঠক ডাকার নির্দেশ দেন তিনি। তার প্রেক্ষিতেই এই বৈঠক।
আগামীকাল, মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর হাসপাতালের মামলার শুনানি আছে। আর তাই তেড়েফুঁড়ে নেমেছেন সিবিআই অফিসাররা। আর সেখানে কোন তথ্য উঠে আসে এবং রাজ্য সরকারের ক্ষেত্রে কী নির্দেশ আসে সেটাও লক্ষ্য রাখা হবে। তবে মঙ্গলবারের বৈঠকে এই ঘটন🍒া নিয়ে বা সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ নিয়ে কোনও আলোচনা হবে না বলেই নবান্ন সূত্রে খবর। এখন ভিন রাজ্যে বাংলা থেকে আলু পাঠানো যাচ্ছে। কোনও নিষেধাজ্ঞা নেই। তবে একটা শর্ত আছে। সেটি হল, বাংলায় যেন আলুর দাম কম থাকে🦄। সেটা কতটা রয়েছে তা এই বৈঠকে চর্চিত হবে।
এছাড়া অন্যান্য শাক–সবজি, আলু–আনাজ, মাছ–মাংস সব কিছুর দাম খতিয়ে দেখা হবে এই বৈঠকে। এই বিষয়ে প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির প্রধান লালু মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘ভিন রাজ্যে চাহিদা কমেছে। তাই বেশি পরিমাণ আলু এখন বাইরে পাঠানো সম্ভব হয়নি। হিমঘর থেকে কম দামে আলু বেরচ্ছে এখন। প্রতি কেজি জ্যোতি আলু হিমঘর থেকে ২৪–২৫ টাকায় বের হচ্ছে। কলকাতার খুচরো বাজারে ৩০–৩১ টাকায় ওই আলু বিক্রি হওয়া উচিত।’ আর সরকারি টাস্ক ফোর্সের সদস্য কমল দে’র বক্তব্য, ‘সবজির দাম এখন স্থিতিশীল আছে। পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫৫–৬০ টাকায়। কেন্দ্রীয় সরকার বিদেশে রফতানির উপর বিধিনিষেধ তুলে নিতেই পেঁয়াজ অগ্নিমূল্য হয়ে💟 উঠছে।’