আরজি কর হাসপাতালের ঘটনার পর জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে বৈঠক হয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তখন জুনিয়র ডাক্তারদের দাবির মধ্যে ছিল, রাজ্য সরকারের হাসপাতালগুলিতে নিরাপত্তার স্বার্থে সিসিটিভি ক্যামেরা বসাꦦতে হবে। সেই দাবি মেনে নেওয়ার পর কাজ শুরু হয়। তখন প্রশা🍌সনের আমলারা একটা বুদ্ধি বের করেন। তাতে শহর ও জেলার পথঘাটে যেসব সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো আছে সেগুলিকে একসঙ্গে সংযুক্ত করার পরিকল্পনা করেন। সেক্ষেত্রে নবান্নে বসে ওই সিসিটিভি ক্যামেরায় চোখ রেখে জেলার পরিস্থিতির উপর নজর রাখা যাবে।
এই সিসিটিভি ক্যামেরাগুলি বসানো আছে জেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ও কমিশনারেটের চ♏ারপাশে। এগুলি দিয়ে জেলা পুলিশ এবং কমিশনারেট নজরদারি করে থাকে। এবার নবান্নের কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে রাজ্যের নানা প্রান্তের সিসিটিভি ক্যামেরার সংযোগ হলে সবটা নজরদারি করা যাবে। বলা যেতে পারে, মাউসের এক ক্লিকেই নবান্নের কন্ট্রোল রুমের পর্দায় ভেসে উঠবে জেলার যেখানকার ছবি দেখতে চাওয়া হবে। এতে দুটি সুবিধা মিলবে। এক, প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা অন্যান্য কোনও সমস্যা দেখা দিলে তা নজরে রাখা যাবে নবান্ন থেকে। দুই, উৎসব–মেলা–পার্বণ–নয়া উদ্বোধন সবটাই দেখে নেওয়া যাবে এখান থেকেই।
আরও পড়ুন: দুর্গাপুজোর ছুটিতে এবার কোপ ফেলতে চাইছে কলকাতা হাইকোর্ট, ফুঁসছেন আইনজীবীরা
নবান্নে এবার নতুন একটি কন্ট্রোল রুম তৈরি হচ্ছে বলে প্রশাসনিক সূত্রে খবর। সেটি হচ্ছে ডিজি কন্ট্রোল রুমের পাশেই। সেখানেই রাজ্যের সব প্রান্তের ছবি দেখা যাবে এক ক্লিকেই। এমনকী ওই নয়া কন্ট্রোল রুমে একজন অফিসারের নেতৃত্বে থাকবে ১০ জন পুলিশ কর্মী। প্রত্যেক শিফটে এই ব্যবস্থা থাকবে। এখন হাওড়া পুলিশ কমিশনারেটের সঙ্গে ওই নতুন কন্ট্রোল রুমের সিসিটিভি ক্যামেরার সংযোগ করা হয়ে গিয়েছে। ধীরে ধীরে সর্বত্র একই ব্যবস্থা গড়ে উঠবে। সেক্ষেত্রে কোনও ঘটনা বাদ যাবে না নবান্নের 🗹র্যাডার থেকে। হাওড়ার অন্যান্য জায়গার সঙ্গে এখন ক্যামেরা সংযোগের কাজ চলছে। যা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।