রাজ্যের আয় বাড়াতে হবে। কারণ আয়ের থেকে ব্যয় বেশি হচ্ছে। তাই রোজগার বৃদ্ধি করতে তৎপর হল নবান্ন। তার জেরেই এবার রাজস্ব বিভাগকে আমূল বদলে ফেলার সিদ্ধান্ত নিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। এই কারণে অর্থ দফতরের অধীনে একটি পৃথক ‘রাজস্ব সেল’ তৈরি হয়েছে। যার পোশাকি নাম—ওয়েস্ট বেঙ্গ♋ল রেভিনিউ সার্ভিস সেল। এই সেলের মূল কাজ হচ্ছে, নানা ক্ষেত্র থেকে রাজ্য সরকারের রাজস্ব আদায় বাড়ানো এবং 🦂রাজস্ব আদায়ের কাজকে সুসংহত করা। এটা করলে আয়–ব্যয়ের সমতা থাকবে। এমনকী আয় বেড়েও যেতে পারে। তাতে রাজ্যের পক্ষ থেকে চলা সামাজিক প্রকল্পগুলি আরও ভাল করা যাবে।
এদিকে রাজ্য সরকারের অধীনে একাধিক দফতর রয়েছে। আর সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ দফতর রাজস্ব বিভাগ। এই তালিকায় আছে— ওয়েস্ট বেঙ্গল কমার্শিয়াল ট্যাক্স সার্ভিসেস, ওয়েস্ট বেঙ্গল এক্সাইজ সার্ভিস, ওয়েস্ট বেঙ্গল রেজিস্ট্রেশন অ্যান্ড স্ট্যাম্প রেভিনিউ ও ওয়েস্ট বেঙ্গল এগ্রিকালচারাল ইনকাম ট্যাক্স সার্ভিসেস। এই সব দফতরকে একসঙ্গে♏ করে তৈরি করা হয়েছে ‘দ্য ওয়েস্ট বেঙ্গল রেভিনিউ সার্ভিস’। এই সেল একক সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম। অর্থ দফতরের মুখাপেক্ষী হতে হবে না। সুতরাং ফাইল চালাচালি করে সময় নষ্ট হবে না। রাজস্ব আদায় আর ধাক্কা খাবে না। রাজস্ব বিভাগকে জটিলতা থেকে মুক্ত করতেই পৃথক সেল তৈরি করল রাজ্য সরকার। এই সেল শুধুমাত্র রাজস্ব আদায়ের কাজ দেখবে।
অন্যদিকে নবান্ন সূত্রে খবর, সিনিয়র স্পেশাল সেক্রেটারি অথবা তার ঊর্ধ্বতন কোনও অফিসারকে নয়া রেভিনিউ সেলের দায়িত্ব দেওয়া হবে। ওয়েস্ট বেঙ্গল রেভিনিউ সার্ভিসের দু’জন ডেপুটি সেক্রেটারি পদমর্যাদার অফিসার, একজন হেড অ্যাসিস্ট্যান্ট ও দু’জন আপার ডিভিশন অ্যাসিস্ট্যান্ট রেভিনিউ সেলের কাজকর্ম দেখভাল করবেন বলে ঠিক হয়েছে। অর্থ দফতরের অধীনে থাকলে রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রে তাঁরা অনেক স্বাধীনভাবে কাজ করবে। তাতে রাজস্ব আদায়ের কাজে গতি বাড়বে। ষষ্ꦿঠ বেতন কমিশনের সুপারিশ মেনে রাজ্য সরকারি কর্মীদের বর্ধিত হারে বেতন, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কন্যাশ্রী, স্বাস্থ্যসাথী, খাদ্যসাথী, সবুজ সাথী–সহ সামাজিক প্রকল্প চালু আছে। তাতে বিপুল টাকা ব্যয় হয়। জলজীবন মিশন, এনএইচইউএম–সহ নানা কেন্দ্রীয় প্রকল্পে রাজ্য সরকারকে বিপুল টাকার ম্যাচিং গ্রান্ট দিতে হয়।
আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক ভাষা দিবসে মিলবে একশো দিনের টাকা, বকেয়া মেটাতে এসওপি তৈরি নবা൩ন্নের
তাই আয়–ব্যয়ের সমতা রাখতে পৃথক সেল গড়ে তোলা হয়েছে। তার মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছেন, কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনা সত্ত্বেও বাংলায় ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে বকেয়া পাওনা রাজ্য সরকারই মিটিয়ে দেবে। তাই আয় বাড়াতেই হবে। সরকারি হিসাবে, প্রায় ১৯ লক্ষ জব কার্ড হোল্ডারের একশো দিনের বকেয়া মেটাতে আনুমানিক ৭ হাজার কোটি টাকা খরচ হবে। তার উপর আবার আবার রাজ্য বাজেট আছে। সেখানে প্রকল্পের হার বাড়তে পারে। তাই অর্থ জোগাড় করতে গেলে রাজস্ব সংগ্রহ বাড়ানো ছাড়া কোনও বিকল্প নেই। তাই রাজস্ব বিভাগকে আমূল বদলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে মমতা বন্দ্যো▨পাধ্যায়ের সরকা𝓀র।