পুলিশের কাজকর্মের উপর নজরদারি কি কোথাও কমছে? তার জেরেই কি কোথাও কোথাও ঢিলেমি দিচ্ছে পুলিশ? এই প্রশ্নটা গত কয়েকমাস ধরেই উঠছিল। মূলত একাধিক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এই প্রশ্নটা উঠতে শুরু করেছিল। এমনকী রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুলিশের একাংশের ভূমিকা নিয়ে সরাসরি প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছিলেন। তিনি নিজেই পুলিশমন্ত্রী। সেক্ষেত্রে পুলিশ যদি কোথাও অনিয়ম করে তবে বিরোধীরা একেবারে মুখ্য়মন্ত্রীর উপর দায় চাপাতে চান। তবে এবার পুলিশের উপর নজরদারি বাড়তে একেবারে নবান্নের পাশেই তৈরি হচ্ছে পুলিশের বিশেষ কক্ষ।
সূত্রের খবর, নবান্নের কাছেই বিশেষ কক্ষ করা হচ্ছে। সেখান থেকে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের উপর নজর রাখা হবে। অর্থাৎ এখানে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা সিসি ক্যামেরার মনিটর থাকবে। এখান থেকে ইচ্ছে করলে খোদ মুখ্য়মন্ত্রী গোটা রাজ্যের উপর সরাসরি নজর রাখতে পারবেন। সেক্ষেত্রে পুলিশ কোথায় কী কাজ করছে সেটাও ধরা পড়বে এই জায়গায় বসেই।&nbsౠp;
এবার💝 খোদ মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ꧟্যোপাধ্যায় এই বিশেষ সেলের পরিকল্পনা দিয়েছেন বলে খবর। রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমারের তত্ত্ববধানে নবান্নের কাছে এই মনিটরিং সেল তৈরি হচ্ছে।
একেবারে সরাসরি এখানকার রুমে বসে নজর রাখা যাবে গোটা রাজ্যের উপর। অর্থাৎ আগে যে ব্যবস্থাটি ছিল সেটা হল স্থানীয়স্তরে কোনও ঘটনা হলে সেটা কিনারা করার জন্য সেই জায়গায় সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করত সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশ। এরপর প্রয়োজনে জেলা পুলিশ সেটা চেয়ে পাঠাতো। প্রয়োজনে রাজ্য পুলিশ সেই সিসি ক্যামেরার ফুটেজ চাইত। তখন জেলা থেকে তা রাজ্য পুল♑িশের কাছে পাঠানো হত। তবে এবার একেবারে রাজ্য পুলিশ সিসি ক্যামেরার মাধ্য়মে রাজ্য়ের যেকোনও জায়গার উপর নজর রাখতে পারবে। বিশেষ প্রযুক্তির💙 মাধ্যমে এই ব্য়বস্থাকে করা হচ্ছে। এর মাধ্য়মে রাজ্যের পুলিশি ব্য়বস্থাটি পুরো সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
সেই সঙ্গেই স্থানীয় স্তরে ♛পুলিশের মধ্য়ে কোথাও যদি ঢিলেমি, অনিয়ম, তোলাবাজির মতো ঘটনা হয় তবে তা নজরে পড়বে রাজ্য পুলিশেরꦕও। আর নীচের স্তরের পুলিশও এনিয়ে কিছুটা সতর্ক হয়ে যাবে।
সূত্রের খবর, ২০২৬ এ বিধানসভা ভোট। তার আগে রাজ্য়ের পুলিশি ব্যবস্থায় যে ফাঁকফোকর রয়েছে তা মেরামত করতে চাইছে নবান্ন। আর তারই অঙ্�♊�গ হিসাবে এই বিশেষ কক্ষের নির্মাণ। এমনটাই মনে করছেন অনেকে।