প্রদীপ কুমার মৈত্র
মহারাষ্ট্রের পরের মুখ্য়মন্ত্রী কে হবেন? এনিয়ে আরএসএস সদর দফতর থেকে দিল্লির কাছে বড় বার্তা গিয়েছে বলে খবর। আর সেখানে যে নামটি মুখ্য়মন্ত্রী হিসাবে ইঙ্গিত দেওয়া হচ্ছে তিনি আর কেউ নন দেবেন্দ্র ফড়নবিশ। সঙ্ঘ নেতৃত্বের সঙ্গে সবসময় যোগাযোগ রেখে তিনি অক্লান্ত পরিশ্রম করে গিয়েছেন। আর ✃এবার সেই মহারাষ্ট্রে ভালো আসন দখল করতে পেরেছে বিজেপি।
জয় পেয়েছে মহাযুতি। নাগপুর পুরসভার একজন সামান্য কাউন্সিলর ছিলেন তিনি। কত আর বয়স তখন মাত্র ২২ বছর। এরপর তিনি নাগপুরের মেয়রও হয়েছিলেন তিনি। এবার আরএসএসের গুডবুকে দেবেন্দ্র। ধাপে ধাপে উঠে এসেছেন তিনি। আর এবারের ভোটে তিনি বার বার প্রতিটি পদক্ষেপে আরএসএসের সঙ্গে সমণ্বয় রেখেই কাজ করেছেন। সম্ভবত মঙ্গলবারই মহারাষ্ট্রের মুখ্য়মন্ত্রী কে হবেন তা নিয়ে ঘোষণা হতে পারে। তবে আরএসএস এই ইঙ্গিত দিয়ে দিয়েছে বিজেপিকে যে ফ💜ড়নবিশকে এই পদ দেওয়া নিয়ে তারা কোনও রকম আপোস করবে না। এদিকে ২০২২ সালে একনাথ শিন্ডেকে মুখ্যমন্ত্রী পদে বসানো হয়েছিল। বিষয়টি একেবারেই ভালো চোখে দেখেনি আরএসএস। কারণ ২০১৯ সাল থেকেই ফড়নবিশ বিজেপির মুখ। তাকে এড়িয়ে গিয়ে কেন একনাথকে বড় পদ দেওয়া হয়েছিল তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিল।
এদিকে বিগত দিনে ফড়নবিশকে জাতীয় ক্ষেত্রে আনার জন্যও নানা পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল দলের তরফে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি জাতীয় ক্ষেত্রে আসেননি। তিনি মহারাষ্ট্রতেই রাজনীতি করার ব্যাপারে নি✃জের ইচ্ছার কথা জানিয়েছিলেন।
এবারের ভোটে আরএসএস নেতা অতুল লিমায়ের সঙ্গে সমণ্বয় রেখে কাজ করেছিলেন ফড🐭়নবিশ। এক হ্যায় তো সেফ হ্যায় এই মন্ত্রকে সামনে রেখে কাজ শ🏅ুরু হয়েছিল। ভোট জিহাদের বিরুদ্ধে একজোট হয়েছিল বিজেপি।
ফড়নবিশ সরাসরি বলতে শুরু করেছিলেন এটা হল ধর্মযুদ্ধ। এদিকে এক আরএসএস পর্যবেক্ষক দিলীপ দেওধর জানিয়েছেন, ফড়নবিশ একটা ফর্মুলা বলেছিলেন, যেখানে তিনি আড়াই বছর থাকবেন সিএম পদে বাকিটা একনাথ। তবে আরএসএসের অপর নেতার দাবি, সঙ্ঘ পরিবার চাইছে পুরো মেয়াদটাই মুখ্🃏য়মন্ত্রী থাকবেন ফড়নবিশ।
এদিকে এবারের ভোটে আরএসএস এক💞টা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিল।
আরএসএসের পশ্চিমাঞ্চলের প্রাক্তন প্রধান এবং বর্তমানে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অতুল লিমায়েকে এই প্রচেষ্টার নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য নিয়োগ করা হয়েছিল। লিমায়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিতিন গডকড়ী এবং প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ সহ বিজেপি নেতাদের সাথে এবং দিল্লির বিজে🌱পি নেতাদের সাথে বিশেষত জাতীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিএল সন্তোষ এবং আরএসএস ও বিজেপির সমন্বয়কারী অরুণ কুমারের সাথে সহযোগিতা করেছিলেন।
দেওধর জোর দিয়েছিলেন যে এই নির্বাচনী চক্রে আরএসএস যে অভূতপূর্ব প্রচেষ্টা করেছিল তা ১৯৭৭ সালের জরুরি অবস্থা এবং ২০১৪ সালের ไনির্বাচনী প্রচারের সময়ও সমাবেশকে ছাড়িয়ে গেছে যা নরেন্দ্র মোদীকে ক্ষমতায় এনেছিল। তিনি বলেন, নির্বাচনে শুধু বিজেপি নয়, আরএসএস কার্যত প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে।