২৯ বছরের দীর্ঘ দাম্পত্য জীবনের ইতি টেনেছেন এ আর রহমান ও তাঁর স্ত্রী সায়রা বানু। খবর প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল শুরু হয়েছিল নেটপাড়ায়। এ আর রহমানের অনুরাগীরা রীতিমতো হয়েছিলেন বাক্রুদ্ধ। তাঁদের এই কঠিন সিদ্ধান্তে তারকা দম্পতির তিন সন্তানেরও মন ভালো নেই। তবে সব কিছুর মধ্যেও এই বিচ্ছেদ গ্রীষ্মের সূর্যের প𒆙্রখরতার মতোই বাস্তব। প্রাথমিক আইনি ধাক্কা সামলে ওঠার পরেই সম্পত্তির ভাগাভাগি নিয়ে শুরু হয়েছে কাটাছে🐲ঁড়া, এমনটাই দাবি নেটিজেনদের একাংশের। তাঁদের মতে, রহমানের বিপুল সম্পত্তির অর্ধেক অংশ নাকি পাবেন তাঁর স্ত্রী!
জানেন সুরকারের মোট সম্পত্তির পরিমাণ কত? প্রায় ১,৭২৮ কোটি টাকার মালিক রহমান। তাছাড়াও প্রায় ২,০০০ কোটি টাকা সম্পদও রয়েছে সুরকারের। আর সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে 🐽পড়া গুঞ্জন অনুসারে সেই সম্পত্তির নাকি অর্ধেক ভাগ পাবেন তাঁর স্ত্রী সায়রা বানু। নেটিজেনদের একাংশের মতে, এ আর রহমানের এই বিরাট সম্পত্তির অর্ধেক অংশ নাকি খোরপোষ হিসাবে পাবেন সায়রা বানু।
আরও পড়ুন: ৩০🌃 ছুঁয়েও বিয়েতে না! কুণ্ডলীর দ🍸োষেই আটকে বিয়ে? মুখ খুললেন উর্বশী
তবে এই বিষয়টি নিয়ে সামজ মাধ্যমে জলঘোলা হতে🌜ই𝔍 সায়রা বানুর আইনজীবী বন্দনা শাহ তা উড়িয়ে দিয়েছেন। বিষয়টি সকলের কাছে পরিষ্কার করেছেন আইনজীবী। তিনি সংবাদমাধ্যমে বলেছেন, 'অনেকেরই ধারণা বিচ্ছেদের পর নাকি ভরপোষণের জন্য স্বামীর মোট সম্পত্তির অর্ধেক অংশ তাঁর স্ত্রী পান। কিন্তু এই ধারনা সম্পূর্ণ ভুল। অনেক ভারতীয় এই ভুল ধারণা পোষণ করেন। কিন্তু এই ধরনের কোনও আইন ভারতীয় সংবিধানে এখনও পর্যন্ত নথিভুক্ত হয়নি। তাই খুব স্বাভাবিক ভাবেই রহমান ও সায়রা বানুর ক্ষেত্রেও তা প্রযোজ্য নয়।'
তিনি জানান যে, আদালতে রহমান মোট সম্পত্ত𓂃ির পরি൩মাণ জানিয়েছেন। এই সময় যদি সায়রা বানু খোরপোষের দাবি করেন, সেক্ষেত্রে আদালত পরিস্থিতি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেবে।
পাশাপাশি সায়রা বানুর আইনজীবী বন্দনা শাহ আরও জানান যে, উভয় পক্ষের জমা দেওয়া যাবতীয় তথ্য এবং সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত হবে। পাশাপাশি রহমান এবং সায়রা বানু বন্ধ🎶ুত্বপূর্ণ ভাবে বিচ্ছেদের পথ অবলম্বন করেছেন। তাই এক্ষেত্রে ভরণপোষণের কোনও জায়গা নেই।
প্রসঙ্গত, সায়রা বানুর আইনজীবী বন্দনা শাহ এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, এই দম্প꧋তি তাঁদের সম্পর্কের দূরত্ব অনুভব করেছিলেন, যার জেরে এই কঠিন সিদ্ধান্ত। মঙ্গলবার রাতে রহমান ও বানু এক যৌথ বিবৃতিতে বিচ্ছেদের ঘোষণা দেন। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘মিসেস সায়রা এবং তাঁর স্বামী জনাব এ আর রহমান জোর দিয়ে বলছেন যে তারা ব্যথা ও যন্ত্রণা থেকে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। মিসেস সায়রা এবং তাঁর স্বামী জনাব এ আর রহমান এই চ্যালেঞ্জিং সময়ে জনগণের কাছ থেকে গোপনীয়তা এবং বোঝার অনুরোধ করেছেন, কারণ তারা তাদের জীবনের এই কঠিন অধ্যায়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন’।