হাওড়া স্টেশন লাগোয়া এলাকায় অনেক খাবারের দোকান এবং হোটেল রয়েছে। সেই সমস্ত খাবারের দোকান ও হোটেলগুলি থেকে প্রতিদিন অপরিশোধিত তরল বর্জ্য নির্গত🌃 হয়ে ক্রমাগত মিশছে গঙ্গায়। তার ফলে দূষিত হচ্ছে গঙ্গা। সেই অভিযোগ সংক্রান্ত মামলায় আগেই রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছিল জাতীয় পরিবেশ আদালত। এবার গঙ্গা দূষণকারী ৩০টি হোটেলকে সরানোর ব্যাপারে বন্দর কর্তৃপক্ষকে সহযোগিতা না করার জন্য হাওড়া পুলিশ কমিশনারের জবাব তলব করল জাতীয় ꦉপরিবেশ আদালত।
আরও পড়ুন: রাজ্যে ৫,৫৫৬ টি বেআইনি বাজি কারখানা, জ💙ল গড়াতে পারে পরিবেশ আদালতে
পরিবেশকর্মী তথা মামলাকারী সুভাষ দত্তের অভিযোগ, ওই হোটেলগুলির ফলে প্রতিনিয়ত গঙ্গা দূষণ হচ্ছে। এই মামলায় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ ছাড়াও রাজ্য সরকার, পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর, পরিবেশ দফতর, হাওড়া পুরসভা, শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি বন্দর, ন্যাশনাল মিশন ফর ক্লিন গঙ্গা-সহ বিভিন্ন পক্ষকে মামলায় যুক্ত করা হয়। তাতেই বন্দর কর্তৃপক্ষ হলফনামা দিয়ে জানায়, এনিয়ে তারা হাওড়া পুলিশ কমিশনারের কাছে চিঠি দিয়ে অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু, কমিশনার কোনও ব্যবস্থা নেননি। তারফলে হোটেল সরানো যাচ্ছে না। বন্দর কর্তৃ🤪পক্ষের হলফনামার পরিপ্রেক্ষিতে পরিবেশ আদালত হাওড়ার পুলিশ কমিশনারকেও মামলায় যুক্ত করার নির্দেশ দেয়। এর পাশাপাশি হাওড়া পুলিশ কমিশনারের জবাব তলব করেছে জাতীয় পরিবেশ আদালত।
মামলাকারীর অভিযোগ, এই সমস্ত হোটেল এবং খাবারের দোকানগুলি ন্যূনতম পরিবেশবিধি মানছে না, আর তারফলেই দূষণ বাড়ছে। তাঁর অভিযোগ, তরল বর্জ্য পরিশোধন করার জন্য সেখানে প্ꦍলান্ট রয়েছে। কিন্তু ওই সমস্ত খাবারের দোকান এবং হোটেলগুলির নিকাশী ব্যবℱস্থার তরল বর্জ্য পরিশোধন প্লান্টের সঙ্গে সংযোগ নেই। তারফলেই সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। মামলা সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০৭ সালে রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ হোটেলগুলিকে সরে যাওয়া নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু, তারপরেও সেই নির্দেশ মান হয়নি। হোটেলগুলি সেখানেই রয়ে গিয়েছে। আর এর জন্য এবার বন্দর কর্তৃপক্ষ পুলিশের কমিশনারের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলল। তার পরিপ্রেক্ষিতে এমন নির্দেশ দিয়েছে জাতীয় পরিবেশ আদালত। আগামী শুনানি মধ্যে এই জবাব তলব করেছে আদালত।