NALBAN BHERI, NATURE INTERPRETATION CENTRE, EAST CALCUTTA WETLAND AUTHORITY : কলকাতার অন্যতম জনপ্রিয় পার্ক হল নলবন। শহরের বুকে এক টুকরো গ্রামের মতো পরিবেশ উপভোগ করতে নলবনের কোনও বিকল্প নেই। এই নলব⭕ন ভেড়িকে আরও নতুনভাবে সাজানোর পরিকল্পনা নিয়েছে ইস্ট ক্যালকাটা ওয়েটল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অথরিটি। এর জন্য ২০ কোটি টাকা ধার্য করা হয়েছে। এখানে গড়ে তোলা হবে ‘নেচার ইন্টারপ্রিটেশন সেন্টার’।
আরও পড়ুন: 💖পূর্ব কলকাতার জলাভূমিতে অবৈধ𝓀 নির্মাণ রুখতে কমিটি গঠনের নির্দেশ হাইকোর্টের
বর্তমানে পরিবেশ যেভাবে দূষিত হচ্ছে তা নিয়ে চিন্তিত পরিবেশবিদরা। ফলে সংরক্ষণের বিষয়টি খুব গুরুত্বপূর♏্ণ হয়ে উঠেছে। সেই কারণে জলাভূমি এবং পরিবেশ সংরক্ষণ নিয়ে মানুষকে সচেতন করা হবে নলবনে। এর পাশাপাশি পূর্ব কলকাতার জলভূমিতে কত ধরনের জলজ প্রাণী, উদ্ভিদ, কীটপতঙ্গ বা পাখি রয়েছে? তাদের খাদ্যাভাস বা জীবনযাত্রা কেমন? সে সমস্ত বিষয়ে মানুষকে অবগত করানো হবে। এ নিয়ে মানুষকে সচেতন করতে সেখানে একটি এক্সিবেশন সেন্টারও তৈরি করা হবে। ওই সেন্টারে এই সংক্রান্ত বিষয়ে আকর্ষণীয় পোস্টার লাগানো হবে। এছাড়াও থাকছে আধুনিক গ্যালারি, যেখানে পাখি চেনার জন্য অনেক বই ও ম্যাগাজিন থাকবে।
এর পাশাপাশি নলবনের 🍰সৌন্দর্য যাতে মানুষ আরও ভালোভাবে উপভোগ করতে পারে তার জন্য সেখানে বানানো হবে একটি সাইকেল ট্র্যাক। সেই ট্র্যাকে সাইকেল চেপে পুরো এলাকা ঘুরতে পারবেন যে কেউ। তাছাড়া নলবনের সৌন্দর্য আরও ভালোভাবে উপভোগ করার জন্য একটি উঁচু টাওয়ার বানানো হবে। সেখান থেকে আশেপাশের প্🦄রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করা যাবে।
প্রসঙ্গত, পূর্ব কলকাতা জলাভূমিকে বলা হয় ‘কলকাতার কিডনি’। এখানে প্রকৃতিক উপায়ে জল পরিশোধিত হয়। কীভাবে জল পরিশোধিত হয়? তা দেখানোর ব্যবস্থা থাকবে। এর জন্য ওয়েস্ট রিসাইক্লিং মডেল রাখ𓄧া থাকবে।এছাড়াও তৈরি করা হবে আধুনিক মানের অডিটোরিয়াম, যেখা🧜নে বিভিন্ন ধরনের অডিয়ো ভিজুয়াল প্রেজেন্টেশন করা হবে। বাচ্চাদের খেলার জন্য যারা থাকছে চিলড্রেন্স প্লে এরিয়া। অডিটোরিয়ামে মাঝেমধ্যেই পরিবেশ সংক্রান্ত বিষয়ে সেমিনার করা হবে।
এর পাশাপাশি জলাশয়ে বোটিংয়ের ব্যবস্থা করা হবে। সেখানে আধুনিক মানের বোট থাকবে। তাছাড়া নলবনের মাঝখ🌠ানে থাকা দ্বীপগুলিতে ক্যাফেটেরিয়া তৈরি করা হবে পরিবেশবান্ধব উপায়ে। যার ফলে মানুষ আরও উপভোগ করতে পারবেন নলবনকে। এছাড়াও থাকছে আরও অনেক ধরনের সুবিধা। এই গোটা প্রকল্পের জন্য ২০ কোটি ৩২ লক্ষ টাকা ধার্য করা হয়েছে। যার মধ্যে ৬০ শতাংশ দেবে কেন্দ্র এবং বাকিটা দেবে রাজ্য সরকার। ইংরেজি নতুন বছরে নলবনকে নতুন রূপে দেখা যেতে পারে।