বেহালা খুনে নিহতের বাড়ি থেকে গায়েব হওয়া গয়না খুঁজতে গিয়ে অবাক তদন্তকারীরা। ধৃতরা জানিয়েছে, বিক্রি নয়, ওই গয়না বন্ধক রেখেছে তারা। যার বিনিময়ে ৩০ হাজার টাকা পেয়েছিল তারা। এই দাবির সত্যতা জানতে স্বর্ণঋণ প্রদানকারী সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করছে পুলিশ।জেরায় ধৃত সঞ্জয় ও সঞ্জীব জানিয়েছে, বোন সুস্মিতাকে খুন করে দেড় ভরির কিছু বেশি সোনা লুঠ করে তারা। সঙ্গে লুঠ করে গয়না কেনার নথি। এর পর একটি স্বর্ণঋণ প্রদানকারী সংস্থার স্থানীয় শাখায় গিয়ে সেই সোনা বন্ধক রাখেন। যার বিনিময়ে ৩০ হাজার টাকা পেয়েছিলেন তাঁরা।গোয়েন্দারা বলছেন, খুনিরা অপেশাদার, তাই এমন কাজ করেছে। সাধারণত চুরি বা লুঠের গয়না দ্রুত বিক্রি করে দেয় দুষ্কৃতীরা। প্রমাণ গায়েব করতেই একাজ করে তারা। সেজন্য দামেও অনেকটা আপস করতে হয় তাদের। তাছাড়া চুরির গয়না সব স্বর্ণব্যবসায়ী কেনেন না। সেই ধরণের ব্যবসায়ীর খোঁজ না থাকাতেই সম্ভবত গয়না বন্ধক রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তারা।বলে রাখি, গত ৬ সেপ্টেম্বর খুন হন বেহালার পর্ণশ্রীর সেনপল্লির বাসিন্দা সুস্মিতা মণ্ডল ও তাঁর ১৪ বছরের ছেলে। সন্ধ্যায় ফ্ল্যাট থেকে গলাকাটা দেহ উদ্ধার হয় তাঁদের। ওই ঘটনায় গত রবিবার নিহতের ২ মাসতুতো ভাইকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।