এবার কসবা থানা অন্তর্গত এলাকা কমতে চলেছে। কারণ শহরাঞ্চল বৃদ্ধি পাওয়ায় শুধু কসবা থানা র💖াখলে সবটা সামল🌜ানো সম্ভব নয়। তাই নতুন থানা রাজডাঙা করা হচ্ছে বলে খবর। রাজডাঙায় নতুন এই থানা দ্রুত কাজ করতে শুরু করবে। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের পরই এই নতুন থানা কাজ শুরু করবে। লালবাজারের পক্ষ থেকে এই ইঙ্গিত মিলেছে। এই নতুন থানার দাবি জানিয়ে আসছিলেন স্থানীয় মানুষজন থেকে শুরু করে বিশিষ্টজনেরা। ২০১৪ সালে পুলিশের পক্ষ থেকে সবুজ সংকেত মেলে। কারণ গড়িয়া কানেকটরের দু’ধারে জনসংখ্যা বেড়ে গিয়েছে।
এদিকে এখানের বღড় এলাকা গড়ফা থেকে তিলজলা এখন কসবা থানার অধীনে। তবে রাজডাঙা থানা তৈরি হলে সেখানে ঢুকে 🦩যাবে ইএম বাইপাসের একাংশ এবং ডিপিএস রুবি পার্ক। তবে তালবাগান থেকে হালতু এলাকা থাকবে পুরনো কসবা থানার অধীনে। এই নতুন রাজডাঙা থানা গড়ে ওঠা নিয়ে প্রবীণ নাগরিক অনিতা বসু বলেন, ‘এই এলাকায় চুরি বেড়েছে। এখন রুবি এলাকার চরিত্র বদলেছে। তাই রাজডাঙার বাসিন্দারা পৃথক থানার দাবি করে আসছিলেন। নিজেদের থানা দরকার ছিল। সেটা হচ্ছে জেনে খুব খুশি হলাম।’ এই এলাকায় বসবাসকারী শিক্ষাবিদ দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘কসবা এলাকা যেরকম পরিবর্তন হয়েছে তা কলকাতার অন্য কোনও এলাকায় হয়নি। এটা দক্ষিণের কমার্শিয়াল হাব। বহিরাগতরা এখানে সমস্যা করতে পারবে না নতুন থানা হলে।’
আরও পড়ুন: আজ⛎ চালু হচ্ছে ক্যানসার বি🍒ভাগ, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে উদ্বোধন মুখ্যমন্ত্রীর
অন্যদিকে এখন ভাঙড় এলাকাকে কলকাতা পুলিশের অধীনে আনা হয়েছে। অন্যান্য অনেক অংশ নানা থানার সঙ্গে জুড়েছে। সেখানে রাজডাঙা থানা নতুন করে হলে এলাকার মানুষ সংশ্লিষ্ট থানায় গিয়ে অভিযোগ জানাতে পারবেন। কসবা থানা একটি থাকায় এত বড় এলাকা সামলানো সম্ভব নয়। তাছাড়া মানুষের চাপ বাড়তে থাকে এই কসবা থানার উপর। সেখানে নতুন রাজডাঙা থানা হলে অনেকগুলি এলাকা সেখানে চলে যাবে। আলাদা নজরদারিꦏ করা যাবে। মানুষ নিকটবর্তী থানা পাবে। কসবা থানা বহু বাসিন্দার বাড়ি থেকে অনেক দূরে। তাই সেখানে এসে সমস্যা জানাতে সময় লেগে যায়। তবে নতুন রাজডাঙা থানা হলে পরিস্থিতি পাল্টাবে।
এছাড়া এই বিষয়টি নিয়ে এক অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার অপরাধ কমবে বলে মতামত জানিয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘আমরা অনেকগুলি থানা গড়ে তোলার কথা ভেবেছ🧜ি। যাতে এলাকা সামলানো যায়। শুধু তাই নয়, এলাকায় যাতে সঠিক পুলিশের ব্যবস্থা করা যায় তার জন্যই এমন ভাবনা। এটা একটা চলমান প্রক্রিয়া। আর আমরা এই বিষয়টি নিয়ে নবান্নে চিঠি লিখেছি। যাতে আরও থানার অনুমোদন দেওয়া হয়। হরিদেবপুর থানাও ভেঙে নতুন থানার কথা ভাবা হচ্ছে।’