কলকাতার রাস্তায় জবরদখল নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন খোদ রাজ্য়ের মুখ্য়মন্ত্রী। এরপরই নড়েচড়ে বসে পুরসভা। কোথায় কত হকার রয়েছেন, কতদিন ধরে তাঁরা ওই এলাকায় হক🐼ারি করছেন এমন নানা বিষয় নিয়ে সমীক্ষাও চালানো হয়। মুখ্য়মন্ত্রী♑ হাইপাওয়ার কমিটিও গড়ে দিয়েছেন।
এসবের মধ্য়ে হকার সংক্রান্ত বিষয়ে টাউন ভেন্ডিং কমিটির একটি রিপোর্ট নিয়ে ফের আলোচনা শুরু হয়েছে। তবে এই টাউন ভেন্ডিং কমিটির রিপোর্টটি এখন তৈরি করা হয়েছে তেমনটা নয়। এটা তৈরি করা♕ হয়েছিল গত বছরে। এক ছাত্রের পথ দুর্ঘটনায় মৃত্য়ুর পরে নড়েচড়ে বসেছিল পুরসভা।
সেই রিপোর্টে ঠিক কী বলা হয়েছিল?
সেই রিপোর্টে বলা হয়েছিল কলকাতার গুরুত্বপূর্ণ ৫৮টি মোড়ে হকার বসানোর ক্ষেত্রে বারণ করে🐠ছিল এই কমিটি। সেই সঙ্গেই বলা হয়েছিল শহরের গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলি থেকে ৫০ ফুটের মধ্য়ে হকাররা বসতে পারবেন না।
আসলে গত বছর বেহালা চৌরাস্তায় এক স্কুল ছাত্রের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছি𓆏ল। বড়িশা স্কুলের প্রাথমিক বিভাগের ওই ছাত্রের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছিল। একরত্তির এဣই মৃত্যুর পরে নড়েচড়ে বসে পুরসভা। এরপর টাউন ভেন্ডিং কমিটি রিপোর্ট তৈরি করে। সেই মতো একাধিক সুপারিশ করেছিল সেই কমিটি।
এদিকে বর্তমান পরিস্থিতিতে সেই রিপোর্ট নিয়ে ফের আলোচনা হতে শুরু করেছে। তবে তার থেকেও বড় বিষ♔য় হল টাউন ভেন্ডিং কমিটির সেই রিপ🥂োর্টে যে সুপারিশ করা হয়েছিল তা কেন প্রয়োগ করা হল না?
কেন দিনের পর দিন ধরে ফেলে রাখা হয়েছিল এই কমিটির রিপোর্টকে?
এই প্রশ্নের উত্তর মিলছে না। তবে ফুটপাত থেকে পুরোপুরি হকার সরিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে স্বাভাবিকভাবেই কিছু মানবিক সমস্যা রয়েছে। কারণ একজন হকারের উপর একটা গোটা পরিবার নির্ভর করে। সেক্ষেত্রে হকারদের কর্মচ্যুত করলে পরিস্থিতি ভয়াবহ হতে পারে। এক🧔ে তো এত মানুষ বেকার। তার উপর হকারদের সরিয়ে দিলে বাংলায় বেকারত্ব আরও বাড়বে।
তবে হকারদের একাংশ যেভাব💮ে ফুটপাত জুড়ে ব্যবসা করেন সেক্ষেত্রে তারা কেন পথচারীদের অধিকারকে লঙ্ঘন করবেন সেই প্রশ্নটাও উঠছে। কারণ পথচারীদেরও অধিকার রয়েছে ফুটপাত দিয়ে হাঁটার। পথচারীরা যাতে নিরাপদে হাঁটতে পারেন সেকারণেই ফুটপাত। সেই ফুটপাত জুড়ে কেন ব্যবসা হবে? কেন ফুটপাতের কিছুটা অংশ থেকে তারা সরে যাবেন না?