💫 পয়লা বৈশাখেই কি নোয়াপাড়া-দমদম ক্যান্টনমেন্ট মেট্রো লাইনে বাণিজ্যিক পরিষেবা শুরু হয়ে যাবে? আপাতত সেই ‘ডেডলাইন’ ধরেই কলকাতা মেট্রো কর্তৃপক্ষ এগিয়ে যাচ্ছে বলে একটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুযায়ী, আগামী ১৫ এপ্রিল নোয়াপাড়া-বারাসত করিডরের (ইয়েলো লাইন) নোয়াপাড়া এবং দমদম ক্যান্টনমেন্টের মধ্যে তিন কিলোমিটার অংশে বাণিজ্যিক পরিষেবা শুরু করার চেষ্টা করছে কলকাতা মেট্রো কর্তৃপক্ষ। সেজন্য আজ থেকে চিফ কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটির (সিসিআরএস) পরিদর্শন শুরু হচ্ছে। দু'দিন সেই পরিদর্শন পর্ব চলতে পারে বলে ওই প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। যদিও বিষয়টি নিয়ে মেট্রো কর্তৃপক্ষের তরফে সরকারিভাবে কিছু জানানো হয়নি।
🙈এমনিতে গত রবিবারই নোয়াপাড়া এবং দমদম ক্যান্টনমেন্টের মধ্যে সরকারিভাবে প্রথমবার ট্রায়াল রান হয়েছে। একটি এসি মেধা রেকের মাধ্যমে ট্রায়াল চালিয়েছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ। লোকসভা ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণার আগেই ওই অংশে বাণিজ্যিক পরিষেবা শুরু করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছিল। গত জানুয়ারিতেও সেই ‘ডেডলাইন’ পূরণের বিষয়ে আশাবাদী ছিল মেট্রো কর্তৃপক্ষ। কিন্তু সেটা পূরণ হয়নি। সেই পরিস্থিতিতে এবার নববর্ষের ‘উপহার’ দেওয়ার পরিকল্পনা হচ্ছে বলে ওই প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
🔯কিন্তু এখন তো আদর্শ আচরণবিধি কার্যকর আছে, তাহলে কি নয়া মেট্রোর উদ্বোধন করা যাবে? এক মেট্রো আধিকারিককে উদ্ধৃত করে ওই প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, আদর্শ আচরণবিধি কার্যকর হয়ে যাওয়ায় কেন্দ্রীয় সরকারের কোনও ভিভিআইপির হাত দিয়ে নোয়াপাড়া-বারাসত করিডরের (ইয়েলো লাইন) নোয়াপাড়া এবং দমদম ক্যান্টনমেন্টের মধ্যে বাণিজ্যিক পরিষেবা চালু করা যাবে না। কিন্তু এমনি পরিষেবা উদ্বোধন চালু করা যেতে পারে।
ღঅর্থাৎ পয়লা বৈশাখে যদি বাণিজ্যিক পরিষেবা শুরু করা হয়, তাহলে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো করিডরের (গ্রিন লাইন) হাওড়া ময়দান থেকে এসপ্ল্যানেড অংশ, নিউ গড়িয়া-বিমানবন্দর মেট্রো করিডরের (অরেঞ্জ লাইন) নিউ গড়িয়া থেকে রুবি পর্যন্ত অংশ এবং জোকা-মাঝেরহাট মেট্রো করিডরের (পার্পল লাইন) তারাতা-মাঝেরহাট পর্যন্ত অংশের যেমন উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, সেরকম হবে না নোয়াপাড়া-বারাসত করিডরের (ইয়েলো লাইন) নোয়াপাড়া এবং দমদম ক্যান্টনমেন্টের ক্ষেত্রে।
🌠তবে সেই মেট্রো এগিয়ে কবে বিমানবন্দর স্টেশনে পৌঁছাবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। দমদম ক্যান্টনমেন্ট থেকে এয়ারপোর্ট (বিমানবন্দর) স্টেশন পর্যন্ত কাজ বাকি রয়ে গিয়েছে। সেই কাজটা মিটিয়ে নিয়ে আদৌও ২০২৪ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে পরিষেবা শুরু করা যাবে, তা নিয়ে ধন্দ আছে। যে ‘ডেডলাইন’-টা চলতি বছরের জানুয়ারিতে নির্ধারণ করা হয়েছিল।