গরমের ছুটির সরকারি নির্দেশিকা অমান্য করে সোমবারও খোলা রইল একাধিক স্কুল। কোথাও নিয়ম মেনে꧒ চলল পঠনপাঠন। কোথাও হল পরীক্ষা। অভিভাবকদের দাবি, ছাত্রদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে স্কুল খোলা রাখতে অনুরোধ করেছিলাম মাস্টারমশাইদের।
রাজ্য শিক্ষা দফতরের নির্দেশ মতো ২ মে থেকে সরকারি স্কুলগুলিতে শুরু হয়েছে গরমের ছুটি। কিন্তু তাতে নাখুশ শিক্ষক ও অভিভাবকদের একটা বড় অংশ। প্রায় ২ বছর পর স্কুল খোলার মাসখানেকের মধ্যে ফের ছুটিতে পড়ুয়ারা ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে মনে করছেন তাঁরা। এমনকী এই নিয়ে হাইকোর্টে দায়ের হয়েছে জনস্ব♋ার্থ মামলা। তারই মধ্যে সরকারি নির্দেশিকাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে চলল বেশ কয়েকটি স্কুল।
সোমবার নৈহাটিতে ৩টি সরকারি স্কুলে নিয়মিত পঠনপাঠন হয়েছে। হয়েছে পূর্বঘোষিত পরীক্ষাও। তেমনই একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষক জানিয়েছেন, অভিভাবকদের অনুরোধে স্কুল খোলা রেখেছি। অভিভাবকরা লিখিতভাবে পঠনপাঠন চালু রাখার আবেদন করেছেন। পড়ুয়ারা পি﷽ছিয়ে পড়ছে। তাই স্কুল খোলা রেখেছি। তবে স্কু❀লের তরফে অনুষ্ঠানিকভাবে কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি।
হুগলির তারকেশ্বরের বালিগড়ি অধরমণি দত্ত বিদ্যামন্দিরে এদিন পরীক্ষা হয়েছে। পঞ্চম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত সমস্ত শ্রেণির পরীক্ষা ছিল এদিন। স্কুলের তরফে জানানো হয়েছে, গরমের ছুটি ঘোষণার আগেই পরীক্ষার সূচি প্রকাশিত হয়েছিল। এই একটিই পরীক্ষা বাকি ছিল🤡। সোমবার সেটি না নিলে দেড় মাস পর নিতে হত। ততদিন আটকে থাকত ফলপ্রকাশ।
রাজ্যে গরমের ছুটি ঘোষণার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হয়েছে জনস্বার্থ ম♉ামলা। তাতে অবিলম্বে সরকারি নির্দেশিকাকে খারিজ করে স্বাভাবিক পঠনপাঠন শুরুর আবেদন জানানো হয়েছে।