চৈত্র মাস শেষ হতে চলেছে। আর এখন পুড়ছে গোটা বাংলা। তীব্র দাবদাহে ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা বঙ্গবাসীর। এই তাপদাহের মধ্যেই আলিপুরে এক গাড়ি চালকের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। ইতিমধ্যেই কলকাতা–সহ কয়েকটি 🌊জেলায় ꦬতাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করেছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। এমনকী এই প্রচণ্ড গরমের জন্য গ্রীষ্মের ছুটি এগিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে। তার মধ্যেই তীব্র গরমের জেরে মৃত্যু হল এক গাড়ি চালকের। এই ঘটনাটি ঘটেছে আলিপুর জাজেস কোর্টে। গাড়ি চালককে উদ্ধার করে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে এলে সেখানেই মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। এই ঘটনায় আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
ঠিক কী জানাচ্ছে আবহাওয়া দফতর? আগামী রবিবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করেছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। তারপর ঝড়বৃষ্টিতে পরিবেশ ঠাণ্ডা হবে কিনা সেটার কোনও নিশ্চয়তা মেলেনি। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা গণেশ দাস জানান, রবিবারের পরেও তাপপ্রবাহ চলতে পারে। নিয়ম অনুযায়ী, সর্বোচ্চ পাঁচদিনꦫের নির্দিষ্ট পূর্বাভাস দেওয়া যায়। তাই আপাতত সেই পূর্বাভাসই দেওয়া হয়েছে। দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের মালদা এবং দুই দিনাজপুর জেলায়ও তাপপ্রবাহ পরিস্থিতি হতে পারে।
বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে? আলিপুর জাজেস কোর্টের এক আইনজীবীর গাড়িচালকের মৃত্য়ু হয়েছে গরমে। তাই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। প্রচণ্ড গরমে চালকের আসনে বসেই অজ্ঞান হয়ে পড়েন বাটানগরের বাসিন্দা ৭০ বছরের সমীর চৌধুরী। এস💦এসকেএম হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। চালকের আসনে বসেই প্রথমে অজ্ঞান হয়ে পড়েন সমীরবাবু। তারপর তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। আর তাঁরা মনে করছেন, প্রচণ্ড গরম সহ্য করতে না পেরে স্ট্রোক হয়ে মারা যান তিনি।