সরকারের উন্নয়নমূলক প্রকল্পগ🀅ুলির পরিকল্পনা এবং নজরদারির জন্য কমিটি গঠন করার বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। সেই কমিটির চেয়ারম্যান এক ব্যবসায়ীকে। এই নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। গত ৯ মে প্রকল্প নজরদারি কমিটি নিয়ে এই বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। সাধারণত এই সমস্ত প্রকল্পের ওপর নজরদারির জন্য আইএ❀এস পদমর্যাদার অধিকারীকদের দায়িত্ব দেওয়া হয়। তা সত্ত্বেও কেন একজন ব্যবসায়ীকে এই পদে বসানো হল? সেই প্রশ্ন তুলে সমালোচনায় সরব হয়েছেন বিরোধীরা।
নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, পরিকল্পনা, পঞ্চায়েত নারী-শিশু, সমাজ কল্যাণ, সংখ্যালঘু প্রভৃতি দফতর থেকে একজন করে প্রতিনিধি থাকবে এই কমিটিতে। রাজ্য পুলিশ এবং কলকাতা পুলিশেরও একজন সদস্য থাকবে। এই কমিটি মাসে অন্তত একবার বৈঠক করবে। এ নিয়ে প্রশ্ন তুলে সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘সরকারের উন্নয়নমূলক প্রকল্প দেখার জন্য এবার🐠 আইএস অফিসারদের বাইরে থেকে নিয়ে আসা হয়েছে একজন ব্যবসায়ীকে। যিনি নাকি একজন অভিযুক্ত জেল খাটাও আসামি। এখন এই সমস্ত লোকজনের তাদের কথা শুন🐓তে হবে। এটা সরকারি আধিকারিকদের কাছে লজ্জার বিষয়।’
বিজেপিও এ নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি। বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য মনে করেন বেসরকারিকরণের দিকে এগোচ্ছে রাজ্য সরকার। তিনি বলেন, ‘রাজ্য সরকার বেসরকা🎶রিকরণের নমুনা তৈরি করছে। দল বা সরকারের ফারাক অথবা সরকার পরিচালনার নিয়ম কোনওকিছুই তারা মানছে না।’ কংগ্রেস নেতা আবদুল মান্নান বলেন, ‘যাকে চেয়ারম্যান করা হয়েছে তিনি একটি সংবাদ মাধ্যমের কর্ণধার। সংবাদমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্যই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বর্তমান সরকার।’ যদিও এ প্রসঙ্গে কৌস্তভ রায় বলেন, ‘তিনি জানতেন না যে তাকে কমিটির চেয়ারম্যান করা হয়েছে। বরঞ্চ যারা সমালোচনা করছে তারাই এসব গুজব রটাচ্ছে।’