জামিন নয়, জেলেই থাকতে চান তিনি। চিকিৎসা করাতে চান জেলেই। বৃহস্পতিবার আদালতে হাজিরা দিয়ে এমনই আবেদন করলেন নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে গ্রেফতার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের প্রাক্তন শিক্ষা🔯মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এদিন পায়ে ব্যথার জন্য আদালতে এসেও এজলাসে হাজির হতে পারেননি পার্থ।
এক মাস পুজোর ছুটি শেষে আদালতের নিয়মিত কাজকর্ম শুরু হতে পার্থকে বৃহস্পতিবার আদালতে পেশ করা হয়। প্রেসিডেন্সি জেল থেকে পার্থকে আদালতের লক আপে নিয়ে যাওয়া হয়। এর পর আইনজীবী মারফৎ বিচারকের কাছে পার্থ আবেদন করেন, তাঁর ২টো পা ফুলেছে সিঁড়ি ভেঙে দোতলায় এজলাসে যেতে🌊 পারবেন না তিনি। বয়সের কথা মাথায় রেখে পার্থর আবেদন মঞ্জুর করেন বিচাকর। এর পর কোর্ট অফিসারকে বিচারক প্রশ্ন করেন পার্থকে কোর্ট লক আপ থেকে ভার্চুয়ালি আদালতে পেশ করা সম্ভব কি না। কোর্ট🍎 অফিসার বলেন, লক আপের ইন্টারনেট সংযোগের স্পিড খুব কম। তাই সমস্যা হতে পারে। এর পর ভিডিয়ো কলে পার্থকে এজলাসে হাজির করানো হয়।
বিচারককে পার্থ চট্টোপাধ্যায়🌼 বলেন, পায়ে জল জমছে। পা ফুলে গিয়েছে। হাঁটতে সমস্যা হচ্ছে। আমার ঠিক করে ফিজিওথেরাপি করানো দরকার। তাছাড়া কিডনির সমস্যার সমাধানের জন্য ভালো চিকিৎসা দরকার। তখন বিচারক প্রশ্ন করেন, তিনি কি জেলের বাই꧑রে চিকিৎসা করাতে চাইছেন। পার্থ বলেন, না জেলে চিকিৎসা হলেও তাঁর আপত্তি নেই। এদিনও জামিনের আবেদন করেননি পার্থ, তাঁকে ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতে পাঠিয়েছে আদালত।
আইনজ্ঞদের মতে, সুপ্রিম কোর্ট ꩵহাইকোর্টকে ৬ মাসের মধ্যে নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানি শেষ করতে বলার পরে নিম্ন আদালতে জামিনের আবেদন করে যে বিশেষ ♎লাভ নেই তা বিলক্ষণ জানেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবীরা। তবে পার্থ কেন জেলেই চিকিৎসা করাতে চাইলেন তা নিয়ে শুরু হয়েছে গুঞ্জন।