শেষরক্ষা🐎 করা গেল না। দমকল, পুলিশ, চিকিৎসক থেকে সাধারণ মানুষ—সকলের চেষ্টা সত্ত্বেও নিউরো সায়েন্সের আট তলার জানালার কার্নিশ থেকে ঝাঁপ দিলেন রোগী। আজ, শনিবার এই স্নায়ু রোগী হঠাৎ জানালা দিয়ে কার্নিশে চলে আসেন। আর ত꧙ার পর উপর থেকে নীচে পথচারীদের হাত নাড়তে থাকেন। যা দেখে চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যায় সকলের। খবর দেওয়া হয় দমকলে। হাইড্রলিক ল্যাডার নিয়ে তাঁরা হাজির হন রোগীকে নামানোর জন্য। কিন্তু তিনি ঝাঁপ দিয়ে দেন।
ঠিক কী ঘটেছে নিউরো সায়েন্সে? আজ, শনিবার মল্লিকবাজারের ইনস্টিটিউট অফ নিউরো সায়েন্সের ৮ তলার কার্নিশ থেকে ঝাঁপ দেন রোগী। নার্ভের সমস্যা নিয়ে সেখানে ভর্তি ছিলেন। সকালে জানꦚালার কার্নিশে চলে আসায় তাঁকে সেখান থেকে নামানোর চেষ্টা চলছিল। দমকল কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে কা শুরু করেছিলেন। কিন্তু হঠাৎ কার্নিশ থেকে ঝাঁপ দেন তিনি। ফলে তাঁকে উদ্ধারের চেষ্টা ব্যর্থ হয়। আইএনকে’র উঠোনে পড়েন ওই রোগী। রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে রোগীকে। শারীরিক অবস্থা সংকটজনক।
কেন এমন কাণ্ড ঘটালেন রোগী? সূত্রের খবর, স্নায়ুরোগে আক্রান্ত ওই ব্যক্তি আত্মহত্যা করবেন বলে হুমকি দিচ্ছিলেন কয়েকদি⭕ন ধরে। কারণ তিনি অবসাদে ভুগছিলেন। বিষয়টি কেউ তেমন পাত্তা দেননি। এবার স🌳ে ঘুরে দেখেন জানালা দিয়ে কার্নিশে যাওয়া যায়। আর তার পর এটাই হবে আত্মহত্যার সুবিধাজনক জায়গা বলে মনে করেন তিনি। সেটা বুঝে ফেলার পর জানালা দিয়ে ওই রোগী আত্মহত্যা করতে কার্নিশে চলে আসেন। আর আট তলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে দেন।
রোগীর আচরণ কেমন ছিল? অনেক কাকুতি–মিনতী করেও কিছুতেই তাঁকে সেখান൩ থেকে নামানো যাচ্ছিল না। হাইড্রোলিক ল্যাডার দিয়ে তাঁকে নামানোর চেষ্টা করা হচ্ছিল। সেখানে রোগীর পরিবারের সদস্যদের নিয়ে এসেও নামানোর চেষ্টা চলে। কিন্তু 🐎কার্নিশ থেকেই চিৎকার করে রোগী বলেন, ‘ওকে ওপরে তোলা হলে আমি এখনই ঝাঁপ দেব।’ এই বলে ঝাঁপ দিয়ে দেন।