সম্প্রতি নবান্নে প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দখল হয়ে যাওয়া সরকারি জমি পুনরুদ্ধার করতে কড়া বার্তা দিয়েছিলেন। তারপরে অভিযানের নামতে দেখা গিয়েছিল পুলিশ-প্রশাসন থেকে শুরু করে পুরসভাকে। আর এবার মুখ্যমন্ত্রীর পাড়াতেই দখল হয়ে যাওয়া সরকারি জমি পুনরুদ্ধার করল পুলিশ। সরকারি জমি পুনরুদ্ধার প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মন্তব্য করেছিলেন, ‘আমার বাড়ি থেকে✤ই শুরু করুন।’ এরপর মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ পেতেই হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটে বেদখল হওয়া সম্পত্তি🧜 পুলিশ ও পুরসভা পুনরুদ্ধার করে।
মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির মুౠখে ওই সরকারি জমি দখল করে একটি ক্লাব ঘর তৈরি করা হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। পরে পুলিশ এবং পুরসভা বাড়ির দখল নিতে গেলে মুখ্যমন্ত্রীর ভাই স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের মেয়ে পুরসভা এবং পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন। তিনি দাবি করেন, ওই বাড়িটি বস্তিবাসীদের উন্নয়নের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে। যদিও শেষমেষ মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ পালন করতেই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকতে দেখা যায় পুলিশ ও পুরসভাকে। এরপর বাড়িটি পুনরুদ্ধার করা হয়।
সূত্রের খবর, ওই বাড়ি দখল♍ করার পর সেটি এবার পুলিশ ক্যাম্প হিসেবে ব্যবহার করা হবে। বিশেষ করে যারা মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন সেই সমস্ত পুলিশ কর্মীদের ক্যাম্প হিসেবে এই বাড়িটি ব্যবহার করা হবে। কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানি𒁏য়েছেন, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে বাড়িটি পুনরুদ্ধার করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরেই পুলিশ জমি কেলেঙ্কারিতে যুক্ত থাকার অভিযোগে জলপাইগুড়ির দাপুটে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা দেবাশিস প্রামাণিককে গ্রেফতার করে পুলিশ। দেবাশিস হলেন ডাবগ্রাম ফুলবাড়ি ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি।এরপ༒রে জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের প্রাক্তন কর্মাধ্যক্ষ দেবাশিস প্রামাণিকের কথা মনে করিয়ে দিয়ে জমি মাফিয়াদের বিরুদ্ধে আরও সুর চড়িয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
তিনি পুলিশকে বলেছিলেন, ‘কোনও নেতা যদি ইন্ধন দেন, তাঁকে গ্রেফতার করবেন সঙ্গে সঙ্গে। সে🍒 যে দলেরই হোক। কোনও পুলিশ যদি বলে, তাঁকে গ্রেফতার করা হবে। উপরতলার পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করবে। ডাবগ্রামে দেখেছেন, আমি জেলা প্রেসিডেন্টকে গ্রেফতার করিয়ে দিয়েছি। আমি রাজীব কুমারকে একটি সিস্টেম বানাতে বলেছি। সেটা বানিয়ে আমাকে দেবে।’ আর এবার মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে তাঁর এলাকায🔜় জমি বেদখল করল পুলিশ ও পুরসভা।