উত্তরবঙ্গে প্রায়ই লাল চন্দনকাঠ উদ্ধার হওয়ার খবর পাওয়া যায়। আর এবার বহুমূল্য লাল চন্দন কাঠ উদ্ধার হল কলকাতা বিমানবন্দর থেকে। মূর্তির আকারে লাল চন্দনকাঠ বিমানে চড়ে বিদেশের পাচার করার উদ্দেশ্য ছিল দুষ্কৃতীদের। কিন্তু, তার আগেই সেই সমস্ত চন্দনকাঠ উদ্ধার করে বিমানবন্দরের নিরাপত্তাকর্মী এবং পুলিশ। এই সমস্ত চন্দন কাঠ চারটি বড় বড় ব্যাগে করে বিদেশে পাচারের জন্য নিয়ে যাচ্ছিল পাচারকারীরা। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে ২১৪ কেজি লাল চন্দন।&nꦏbsp;
আরও পড়ুন: ডুয়ার্স থে𒁏কে বাজেয়াপ্ত ৪০০ কেজির লাল চন্দনকাঠ, দুই পাচারকারী গ্রেফতার
কলকাতা বি💧মান বন্দর হয়ে চন্দন কাঠ পাচারের খবর আগেই ছিল পুলিশের কাছে। সেই মতো প্রস্তুত ছিল পুলিশ। জানা গিয়েছে, কলকাতা থেকে দিল্লী হয়ে এই সমস্ত চন্দনকাঠ বিদেশে পাচারের ছক ছিল পাচারকারীদের। বুধবার সকাল ৯ টা নাগাদ ৪ জন ব্যক্তি বড় বড় ব্যাগ নিয়ে বিমানবন্দরে পৌঁছেছিল। তাদের ব্যাগ দেখে সন্দেহ হয় নিরাপত্তাকর্মীদের। এরপর তাদের ব্যাগ সিকিউরিটি চেকিং করার সময় তাতে প্রচুর পরিমাণে লাল চন্দনকাঠ দেখতে পান নিরাপত্তাকর্মীরা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বড় বড় ব্যাগ দেখে ওই ব্যক্তিদের ওপর সন্দেহ হয়েছিল নিরাপত্তাকর্মীদের। সেই কারণে তাদের ব্যাগ আলাদাভাবে চেকিং করা হয়েছিল। এরপর তাদের ব্যাগ থেকে মূর্তির আকারে প্রচুর চন্দন কাঠ বেরিয়ে আসে। তা দেখার পরে ৪ জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তাদের কথায় অসঙ্গতি পাওয়া যায়। এর পরেই তাদের বিমানবন্দর থানার পুলিশের হাতে তুলে দেন নিরাপত্তাকর্মীরা। ধৃতদের নাম হল– ইমরোজ হুসেন, আরিজ হুসেন, শাই ইরশাদ শেখ ও আবিদ হোসেন। কোথায় তা🎐রা এই কাঠ নিয়ে যাচ্ছিল? কেন নিয়ে যাচ্ছিল? সে বিষয়ে তারা কোনও সদুত্তর পুলিশকে দিতে পারেনি। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া চন্দন কাঠের বাজার মূল্য ১০ লক্ষ টাকা।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জানতে পেরেছে ধৃতদের পরিকল্পনা ছিল কলকাতা থেকে দিল্লি যাওয়া। এরপর দিল্লি থেকে হংকংয়ে গিয়ে ওই সমস্ত চন্দন কাঠ পাচারের উদ্দেশ্য ছিল তাদের। ধৃতদের আজ বারাকপুর আদালতে তোলা হবে। তাদের সঙ্গে আরও কারা জড়িত রয়েছে? কোথা থেকে তারা চন্দন কাঠ নিয়ে এসেছিল? সে বিষয়ে জানতে চ🐟াইছে পুলিশ। তদন্তকারীদের অনুমান, এই ঘটনার সঙ্গে পাচারচক্র জড়িয়ে রয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতরা পার্ক সার্কাস এবং খিদিরপুরের বাসিন্দা। এয়ারপোর্টের ডেপুটি কমিশনার বিশপ সরকার জানান, ‘আমাদের কাছে খবর ছিল যে বিমানবন্দর হয়ে প্রচুর পরিমাণে চন্দন কাঠ বিদেশে পাচারের পরিকল্পনা রয়েছে। সেই খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে হানা দেয়। এই সমস্ত চন্দন কাঠ বিভিন্ন ধর🌃নের মূর্তির আকারে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।’