কসবার ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ড নিয়ে তোলপাড় হয়ে গিয়েছে। এই ঘটনায় বিজেপি সিবিআই তদন্তের দাবি করেছে। আবার এই ঘটনাটি প্রকাশ্যে এনেছেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মিমি চক্রবর্তী। তারপর থেকেই নানা ঘটনা প্রকাশ্যে আসছে। ভুয়ো আইএএস অফিসার থেকে কলকাতা পুরসভার নাম ভাঁড়িয়ে কাজ চালানো সবই সামনে উঠে আসছে। এই পরিস্থিতিতে তদন্তভার নিয়েছে গোয়েন্দা দফতর। আর কসবার ঘটনা নিয়ে মুখ খুললেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার সৌমেন মিত্র। এদিন পূর্ব যাদবপুর এলাকার একটি টিকাকেন্দ্রের উদ্বোধনে আসেন কমিশনার। সেখানে কসবা কাণ্ড নিয়ে তিনি বলেন, ‘শুধু কসবায় নয়, শহরের আরও বেশ কিছু জায়গায় এই ঘটনা ঘটেছে। আমাদের গোয়েন্দা শাখা বিষয়টির তদন্ত করছে। কোন ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে, কারা দিয়েছে, কীভাবে দিয়েছে, কোথা থেকে সংগ্রহ করা হয়েছিল, সবটাই তদন্ত হবে।’কীভাবে এই ভ্যাকসিন চক্র কাজ করছিল? নগরপালের জবাব, ‘আমাদের শহরের বাসিন্দারা পরস্পরকে সাহায্য করতে চান। এটাই এই শহরের বিশেষ চরিত্র। গত দেড় বছর ধরে লকডাউন চলছে। শহরের মানুষরা একে অপরের পাশে দাঁড়িয়েছেন। ইতিবাচক মানসিকতার মধ্যে থেকেও যে অমানবিক কাজ করেছে এটা তার মানসিক বিকৃতি ছাড়া আর কিছু নয়।’উল্লেখ্য, তিনদিন আগেই ভুয়ো ভ্যাকসিন দেওয়ার ব্যবস্থা করে একাধিক মানুষকে ভ্যাকসিন দেন এই অভিযুক্ত দেবাঞ্জন দেব। সেখানে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মিমি চক্রবর্তী উপস্থিত হয়ে ভ্যাকসিন নেন। কিন্তু কো–উইন থেকে বার্তা না আসতেই তাঁর সন্দেহ হয়। তখন কলকাতা পুরসভায় বিষয়টি জানান মিমি। আর সঙ্গে সঙ্গে ধরা পড়ে যায় গোটা চক্রটি। এই বিষয়ে পুলিশ কমিশনার সৌমেন মিত্র বলেন, ‘সামাজিক কাজের জন্য সবসময় পুলিশের অনুমতি নিতে হয় না। তবে কীভাবে এই কাজ হল সেটা আমরা তদন্ত করে দেখছি।’