গতকাল পার্ক সার্কাসে পুলিশ কর্মী চুডুপ লেপচা আত্মঘাতী হওয়ার পরেই একাধিক প্রশ্ন উঠে আসছে। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান অবসাদের কারণেই আত্মহত্যা করেছে🎶ন ওই পুলিশ কর্মী। কিন্তু, কী কারণে অবসাদ তা কিছুতেই বুঝে উঠতে পারছেন না লেপচা পরিবার। আচমকা এভাবে তার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে পরিবারে। পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, লেপচা তার বৌদিকে কথা দিয়েছিলেন এবার বাড়ি ফিরে বিয়ে করার পাশাপাশি একটি স্কুটি কিনে দেবেন। কিন্তু, ছুটি নিয়ে এবার আর কালিম্পংয়ের লোলে বস্তির বাড়িতে ফেরা হল না লেপচার।
দাদা লেপচার মৃত্যুর খবর পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়ে🌞ছেন তার বোন। কাঁদতে কাঁদতে তিনি বলেন, ‘গত ২৭ মে দাদা বাড়ি এসেছিলেন। তখন বাড়ির সকলের সঙ্গেই খুব ভালোভাবে কথা বলেছিলেন। এরপর ৮ জুন ট্রেনে করে কলকাতায় ফিরে যান।ℱ প্রতিদিনই ফোনে বাড়ির লোকের সঙ্গে তাঁর কথা হতো। গতকাল সকালেও কথা হয়েছে। কাজ শেষ হয়ে যাওয়ার পর বাড়িতে ফোন করার কথা জানিয়েছিল দাদা। কিন্তু, তার আগেই নিজেকে শেষ করে দেন তিনি।’
প্রসঙ্গত, বাংলাদ🌞েশের হাইকমিশনারে কর্তব্যরত ছিলেন লেপচা। বৌদিকে তিনি স্কুটি কিনে দেওয়ার কথা দিয়েছিলেন। কথা ছিল এবার বাড়ি গিয়ে বৌদিকে শোরুমে নিয়ে যাবেন। কিন্তু, তা আর হল না। পরিবারের সদস্যদের বক্তব্য, তার আচরণ বা কথাবার্তাতে বিন্দুমাত্র কোনও হতাশা বা মানসিক অবসাদের রেশ বোঝা যায়নি। তার বৌদি বলেন, ‘মানসিক অবসাদ 🐟থাকলে শরীরী ভাষাতে কিছুটা হলেও বোঝা যায়। কিন্তু, লেপচার ক্ষেত্রে কিছুই বোঝা যায়নি। আমরা কোনওভাবেই টের পাইনি। আচমকা কেন এরকম হল তা আমরা বুঝতে পারছি না।’ শুধু পরিবারের লোকেরাই নন, লেপচার এরকম আচমকা মৃত্যুতে প্রতিবেশীরাও ভেঙে পড়েছেন। তারা বুঝতে পারছেন না এমনটা কীভাবে হল। সে একজন খোশমেজাজ ছেলে ছিল বলেই জানিয়েছেন প্রতিবেশীরা। এমনটা যে ঘটবে তা কেউই অনুমান করতে পারেননি। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতদেহ ময়না তদন্তের পরেই তার কফিনবন্দি দেহ বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, গতকাল উর্দি অবস্থাতেই নিজের সার্ভিস রিভলবার নিয়ে রাস্তায় একের পর এক এলোপাতাড়ি গুলি চালায় লেপচা। তার গুলির আঘাতে মৃত্যু হয় এক মহিলার। এরপর নিজেও আౠত্মঘাতী হ𝐆ন লেপচা। গুলির আওয়াজ বন্ধ হতেই পথচারীরা সেখানে গিয়ে দেখেন রাস্তায় পড়ে রয়েছে রক্তাক্ত মৃতদেহ।