🐻 গত ২২ জানুয়ারি অযোধ্যার রাম মন্দির উদ্বোধনের লাইভ অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। সেই ঘটনায় একাধিক ছাত্র এবং গবেষকের বিরুদ্ধে কড়া ধারায় মামলা রুজু করল পুলিশ। কমপক্ষে ১৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন নিয়েছেন। পাশাপাশি আগামী ২৩ নভেম্বর অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠিয়েছে পুলিশ। মামলাটি প্রকাশ্যে আসতেই বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন কর্তৃপক্ষের সামনে বিক্ষোভ করেছে। তবে ছাত্র, গবেষকদের বিরুদ্ধে এত কড়া ধারায় মামলা করার নিন্দা জানিয়েছেন শিক্ষকেরা।
আরও পড়ুন: ℱঅভয়াকাণ্ড নিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে কনভেনশন, বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক সকলের
কী ঘটেছিল?
রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠাকে কেন্দ্র করে গত ২২ জানুয়ারি সারা দেশ ও বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় লাইভ সম্প্রচারের আয়োজন করা হয়েছিল। সেই রকমই যাদবপুর🅺 বিশ্ববিদ্যালয়েও লাইভ স্ট্রিমিংয়ের ব্যবস্থা করেছিল গেরুয়া শিবিরের ছাত্র সংগঠন। তাদের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তার জন্য অনুমতি দিয়েছিল। কিন্তু, সেই লাইভ স্ট্রিমিংকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। অভিযোগ তাতে বাধা দেয় বাম ছাত্র সংগঠন। অপরদিকে, লাইভ স্ক্রিনিংয়ের দাবিতে রাম রাম স্লোগান দিতে থাকেন এর পক্ষে থাকা পড়ুয়ারা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। ঘটনায় তাদের আটকাতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন সহ উপচার্য অমিতাভ দত্ত। এছাড়াও এক নিরাপত্তারক্ষীর মাথা ফেটে যায়। ঘটনায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়।
এসএফআইไয়ের বক্তব্য ছিল, ক্যাম্পাসের ভিতরে কোনওরকম বিভাজনমূলক রাজনীতি করা যাবে না। তারা রাম রাম স্লোগানের পালটা ইনক্লাব স্লোগান দিতে থাকে। ঘটনায় দু পক্ষের ধস্তাধস্তি বাঁধে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় সেই ভিডিয়ো। তাতে দেখা যায়, কয়েকজন ছাত্রকে পিছু ধাওয়া করে মারধর করা হচ্ছে। সমস্ত পড়ুয়ারা লাইভ স্ক্রিনিং করার পক্ষে ছিলেন তাদের কার্যত তাড়িয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ঘটনার খবর পেয়ে পৌঁছয় পুলিশ। এরপরে বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটের বাইরে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
ಞসেই ঘটনাতেই পুলিশ ১৮ জনের বিরুদ্ধে দাঙ্গা, হুমকি, ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত, ধর্মীয় জমায়েতের উপর হামলা,বিপজ্জনক অস্ত্র দিয়ে হামলা, উস্কানি, প্ররোচনা, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র প্রভৃতি ধারায় মামলা রুজু করা হয়। জানা গিয়েছে, আক্রান্ত এক পড়ুয়া প্রথমে পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। তবে পুলিশ পদক্ষেপ না করায় তিনি আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন।আলিপুর আদালত এই মামলার তদন্তের নির্দেশ দেয় ওসিকে। যদি এ বিষয়ে মুখ খুলতে চাননি কর্তৃপক্ষ। গেরুয়া শিবিরের ছাত্র সংগঠনও কিছু বলতে চায়নি।