কলকাতায় ফুটপাত থেকে এক ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। বুধবার টালিগঞ্জের মহানায়ক উত্তমকুমার সরণি থেকে ওই ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার হয়। মৃত ব্যক্তির নাম ভোলা। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, অসুস্থতার কারণে 💎মৃত্যু হয়েছে ওই ব্যক্তির। মৃতদেহ ময়নাতদ꧑ন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
জানা গিয়েছে, মৃত ব্যক্তির বয়স আনুমানিক ৫৫ বছর। বুধবার হরিদেবপুꦦরের কবরডাঙায় ওই ব্যক্ত💛িকে গুরুতর আহত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন টালিগঞ্জ মেট্রো রুটের অটো চালক রঞ্জন মিস্ত্রি এবং লতা মণ্ডল নামে এক মাছ বিক্রেতা। তখন তারা ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে দ্রুত এমআর বাঙ্গুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তবে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় ওই ব্যক্তির। তখন দুজনে ওই ব্যক্তির মৃতদেহ টালিগঞ্জের মহানায়ক উত্তমকুমার সরণির ফুটপাতে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যাꦗয়। পরে এক পথচারী একটি বটগাছের নিচে মৃত ব্যক্তিকে 🎃পড়ে থাকে দেখেন। খবর পেয়ে স্থানীয়রা বিষয়টি পুলিশকে জানায়। টালিগঞ্জ–বেহালা চৌরাস্তা রুটের অটো অপারেটর সঞ্জীব দাস বলেন, ‘লোকটির পরনে লুঙ্গি ছিল। পুলিশকে ডাকার আগে আমরা তাকে ফ্লেক্স দিয়ে ঢেকে দিয়েছিলাম।’
একজন আধিকারিক বলেন, পুলিশের এক আধিকারিক আমাদের জানিয়েছেন, যে অটোতে করে মৃ♛তদেহ ফꦏেলে রাখা হয়েছিল সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে সেই অটোটি শনাক্ত করা হয়েছে। তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, মৃতের স্ত্রী ঠাকুরপুকুর ক্যানসার হাসপাতালের কাছে খাবার বিক্রি করেন। পুলিশের ডেপুটি কমিশনার জানান, ‘আমরা লোকটির মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছি। তবে ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে খুনের কোনও প্রমাণ মেলেনি।’ প্রাথমিকভাবে পুলিশ মনে করছে অসুস্থতার কারণে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর তার মৃতদেহ পরিবারের সদস্যদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। ওই ব্যক্তির কোনও শারীরিক সমস্যা ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এর জন্য তার পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পাশাপাশি ওই অটোচালক এবং মাছ বিক্রেতাকে জিজ্ঞাসা করছে পুলিশ। তদন্তকারীরা পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন।