রাজ্যে জারি কড়া বিধিনিষেধের মধ্যেই এবার বিপাকে পড়লেন ভিনরাজ্য থেকে শহরে আসা দুরপাল্লার ট্রেনের অসংখ্য যাত্র্রীরা। হাওড়া স্টেশনে নামতেই হয়রানির শিকার হতে হল ট্রেন যাত্রীদের। তাঁদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণে ভাড়া চাওয়ার অভিযোগ উঠল স্টেশনে উপস্থিত গাড়ি চালকদের বিরুদ্ধে। অবশেষে বিপাকে পড়া যাত্র্রীদের ত্রাতা হয়ে বাঁচাল হাওড়া স্টেশন ট্র্যাফিক গার্ডের পুলিশ আধিকারিকেরা। তাঁরা বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে আনতেই, হাওড়া সিটি পুলিশ ও রাজ্য পরিবহণ নিগমের উদ্যোগে ১২টি সরকারি বাস হাওড়া স্টেশনে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়। রবিবারই ছিল কড়া বিধিনিষেধের প্রথম দিন। এদিন ভোর থেকে শুরু করে সকাল ১০টা পর্যন্ত হাওড়া স্টেশনের পুরনো ও নতুন কমপ্লেক্স মিলিয়ে মোট ১৮টিরও বেশি স্পেশ্যাল ট্রেন স্টেশনে পৌঁছয়। যত বেলা গড়িয়েছে, ততই গাড়ির জন্য হাহাকার পড়ে গিয়েছে স্টেশন চত্বরে।একের পর এক ট্রেন ঢুকতেই ভিড় উপচে পড়ে স্টেশনের বাইরে। এই সমস্ত ট্রেন যাত্রীদের সিংহভাগই ছিলেন হায়দরাবাদ, চেন্নাই ও বিহার থেকে আসা শ্রমিক ও তাঁদের পরিবার। স্টেশনের বাইরে বেরোতেই বিপাকে পড়েন তাঁরা। ব্যাগপত্র নিয়ে স্টেশনের বাইরে বেরোতেই তাঁরা দেখতে পান, স্টেশন চত্বরে কোনও ট্যাক্সি, প্রি-পেড ট্যাক্সি কিংবা অ্যাপ-ক্যাব নেই। ফলে, স্টেশনের বাইরে এসে গাড়ি না-পেয়ে চরম হয়রানির মুখে পড়ে শতাধিক যাত্রী ও তাঁদের পরিবার। অভিযোগ, তাঁদের কাছ থেকে ইচ্ছা মতো ভাড়া হাঁকিয়েছেন স্টেশনে উপস্থিত গাড়ির চালকেরা। এমনকী, কম দূরত্বেও যাত্রীদের কাছ থেকেও কেউ চাইল ৫ হাজার, তো কেউ ভাড়া হাঁকাল ২ হাজার টাকা। কতিপয় যারা সেই টাকা দিতে পেরেছেন, তাঁরা পকেটের কড়ি খসিয়ে বাড়ি ফিরতে বাধ্য হলেন। আর যারা পারলেন না, তাঁরা হেঁটেই গন্তব্যের দিকে রওনা দিলেন। অনেককেই আবার সরকারি বাসস্ট্যান্ডে বসে বাসের আশায় ঠায় অপেক্ষা করতেও দেখা যায়।পরিস্থিতি নাগালের বাইরে চলে যেতে দেখে শেষে যাত্রীদের বাড়ি ফেরাতে উদ্যোগী হয় হাওড়া স্টেশন ট্র্যাফিক গার্ডের পুলিশ আধিকারিকেরা। তাঁরা বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে আনেন। তারপরেই হাওড়া সিটি পুলিশ ও রাজ্য পরিবহণ নিগমের উদ্যোগে ১২টি সরকারি বাস হাওড়া স্টেশনে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়। রেলযাত্রীদের জন্য বাসের ব্যবস্থা করার কথা মাইকে ঘোষণা করতেই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন যাত্রীরা।