রাজ্যে উৎপন্ন আলু ভিনরাজ্যে রফতা🐓নি হয়ে যাওয়ায় প্রকাশ্য বৈঠকে রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমারকে তুলোধোনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুলিশের একাংশের বিরুদ্ধেꦫ ঘুষ নিয়ে রাজ্যের ফসল ভিনরাজ্যে যাওয়ার পথ খুলে দেওয়ার অভিযোগ করে তিনি বলেন, রাজনৈতিক নেতারা জনগণের টাকা খাওয়ার আগে ১০ বার ভাবে, পুলিশের নিচুতলার কিছু অফিসার কর্মী তা ভাবে না।’
আরও পড়ুন - হাসপাতাল থেকে জেলে ফিরেছেন 📖জ্যোতিপ্রিয়, ভার্চুয়ালি হাজির আদালতের শুনানিতে
পড়তে থাকুন - বেলডাঙা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় সংযত 🃏থাকতে বলল HC, BJP-র দাবি - ৪ জেলায় বন্ধ নেট
এদিন আলুর দাম নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বৈঠকে দৃশ্যত ক্ষুব্ধ ছিলেন মমতা ব❀ন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘রাজীব কুমারকে বলছি, কিছু জিনিসের প্রতি যত্ন নেও। হয়তো তুমি চেষ্টা করো, কিন্তু স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন সাহায্য করছে না। সবাইকে বলছ꧃ি না, একাংশ। পলিটিক্যাল নেতাদের নামে সবাই বদনাম করে বেশি। পাঁচ টাকা খেলে ৫০০ টাকা বলে দেয় চোর। পলিটিক্যাল নেতারা টাকা খাওয়ার আগে ১০ বার ভাবে। জনগণের টাকা খাওয়া কি উচিত? তাদের নিজস্ব একটা দায়বদ্ধতাও থাকে। কিন্তু নিচুতলার কিছু অফিসার, কিছু কর্মী, যারা এই গরমেন্টকে ভালোবাসে না এবং তোমার পুলিশেরও কিছু লোক, তারা টাকা খেয়ে আজকে বালি চুরি বলো, কয়লা চুরি বলো, সিমেন্ট চুরি বলো...।’
এর পরই যে কোনও চুরির ক্ষেত্রে পুলিশকে কড়া হওয়ার নির্দেশ দিয়ে মমতা বলেন, ‘চুরি হলে তখন বলবে কয়লা চুরি করছে তৃণমূল কংগ্রেস আর চুরি করবে CISF টাকা খেয়ে বা পুলিশের একাংশ টাকা খেয়ে আমি এটাকে টলারেট করব না। যদি কোনও রাজনৈতিক দলের লোকও খায় তার কলার চেপে ধরো। তাকে আইনের প্যাঁচে ধরো। আইনত জেলে পাঠাও। এখানে কোনও অজুহাত আমি শুনতে চাই ꦏনা।’
আরও পড়ুন - ‘হিন্দুদের উপর অত্যাচার নিয়ে নীরব মমতা!’ প🃏ুলিশের রদবদল নিয়ে বিস্ফোরক সুকান্ত
মমতার দাবি, ‘আমার দরকার নেই এক পয়সাও। বার বার আমি বলি। প্রয়োজনে𝓡 আমি দলের নির্বাচন করানোর জন্য লোকের কাছে আঁচল পেতে টাকা নেব। আজ পর্যন্ত কেউ বলতে পারবে না কোনও সরকারের কাছ থেকে বা কারও কাছ থেকে আমি এক পয়সা নিয়েছি। কোনও কারণে। অন্য কেউ যদি নিয়ে থাকে তুমি ছাড়বে কেন? প্রত্যেকের জন্য আইন সমান ভাবে কার্যকর হওয়া উচিত। সেখানে কোনও বৈষম্য হওয়া উচিত নয়। কেউ কেউ ভাবে, একে ম্যানেজ করি, ওকে ম্যানেজ করি। করে তোলাবাজি করি। তারা বাঁচাবে। কেউ বাঁচাবে না। আমি তো বাঁচাব না। আমার কাছে কোথাও না কোথাও থেকে তো খবর আসবেই।’