বিধানসভা নির্বাচনে তারকেশ্বরে বিজেপির প্রার্থী হয়েছিলেন স্বপন দাশগুপ্ত। সেই সময় বিতর্ক তৈরি হয়েছিল স্বপন দাশগুপ্তর প্রার্থীপদ এবং রাজ্যসভার সদস্যপদ নিয়ে। যারপর তিনি রাজ্যসভা থেকে পদত্যাগ করেছিলেন। তবে নির্বাচনে জিততে পারেননি স্বপনবাবু। এই পরিস্থিতিতে ফের একবার রাজ্যসভায় মনোনীত হলেন স্বপন দাশগপপ্ত। নিজের বাকি মেয়াদ, অর্থাত্ ২০২২ সালের ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত স্বপনবাবুকে রাজ্যসভার সদস্য হিসেবে মনোনীত করলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ।উল্লেখ্য, তারকেশ্বরের প্রার্থী হিসেবে স্বপন দাশগুপ্তর নাম ঘোষণা হতেই তাঁর বিরুদ্ধে তোপ দেগেছিলেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। তাঁর অভিযোগ ছিল, রাজ্যসভার সাংসদ হিসেবে মনোনীত হওয়ার ৬ মাস পরে যদি কেউ কোনও রাজনৈতিক দলে যোগদান করেন তাহলে তাঁর সদস্যপদ বাতিল হয়ে যায়। ২০১৬ সালের এপ্রিলে রাজ্যসভার সদস্য হিসেবে শপথ নেওয়া স্বপন দাশগুপ্ত তাই ২০২১ সালে সরাসরি বিজেপিতে যোগদান করে সংবিধান ভঙ্গ করছেন বলে দাবি করেন মহুয়া। এরপরই বিধানসভার প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেশ করার আগে রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেন স্বপন দাশগুপ্ত।রাজনৈতিক মহলে জল্পনা ছিল, বিজেপি রাজ্যে নির্বাচনে জিতলে স্বপন দাশগুপ্তকে মুখ্যমন্ত্রী বা গুরুত্বপূর্ণ পদে দেখতে চেয়েছিল বিজেপি। তাই তাঁকে তারকেশ্বর থেকে প্রার্থী করেছিল গেরুয়া শিবির। তবে তারকেশ্বরে হেরে যান স্বপনবাবু। এই আবহে মঙ্গলবার একটি সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে প্রকাশ করে জানিয়ে দেওয়া হয়, রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদকে পুনরায় মনোনীত করা হয়েছে। এদিকে স্বপনবাবু ছাড়াও দেশের প্রাক্তন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী তথা আইনজীবী রাম জেঠমালানির ছেলে মহেশ জেঠমালানিকেও রাজ্যসভায় মনোনয়ন দেওয়া হয়।