রাত পোহালেই সরস্বতী পুজো। তার আগেই ফুল–ফলের দাম ছ্যাঁকা দিচ্ছে মধ্যবিত্তদের পকেটে। এমনকী কিছু সবজির দাম এ🍬খনও চড়ার দিকেই রয়েছে। তবে বুধবার সরস্বতী পুজোর আগের দিন কমবেশি দাম বৃদ্ধির ইঙ্গিতও দিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। ক্রেতারাও দাম বাড়ার আশঙ্কায়। বিক্রেতারা বলছেন, সব জিনিসেরই দাম বেড়েছেꦬ। তাই ফল,ফুল এবং সবজির দাম একটু তো বাড়বেই।
এদিকে ইতিমধ্যেই শসা, বেগুন, ক্যাপসিকামের মতো সবজিগুলির দাম প্রায় পাঁচ থেকে দশ টাকা কেজি প্রতি বেড়ে গিয়েছে। খুচরো ও পাইকারি বাজারের দামের ক্ষেত্রে বিস্তার ফারাক রয়েছে।🦋 প্রতিটি সবজির দাম হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় চাপে পড়ে গিয়েছে মধ্যবিত্ত মানুষজন। এখন ফুলের বাজার ঘুরলে দেখা যাবে দাম বেশ চড়া। বড় আকারের হলুদ কিংবা লাল গাঁদার মালা, রজনীগন্ধার মালা, দোপাটি ইত্যাদি কুচো ফুল, বা গোলাপের কুঁড়ির পাইকারি দাম অন্যান্য সময🗹়ের তুলনায় ২০ থেকে ৩০ টাকা বেড়েছে।
অন্যদিকে ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, প্রত্যেক বছর সরস্বতী পুজোর কয়েকদিন আগে থেকেই চড়তে শুরু করে সবজি এবং ফল♊ের দাম। বুধবার সেটা অনেকেই বুঝতে পারছেন। শশা, নাসপাতি, কুল এবং পটলের দাম তুলনামূলকভাবে বেশি। একসপ্তাহ আগে ৩০ টাকা কিলো শসা বিক্রি হয়েছে। এদিন সেই দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬০ টাকা। নাশপাতি প্রতি কেজির দাম প্রায় ২০০ টাকা। বড় আকারের কমলালেবুর এক একটির দাম ১২ টাকা। আপেল ১২০ টাকা কিলো। আর সবজির মধ্যে ফুলকপি ৪০ টাকা পিস, বাধাকপি ৩০ টাকা পিস, কাঁচা লঙ্কা ৭০ টাকা কেজি, কমড়ো ৩০ টাকা কেজি, করোলা ৫০ টাকা কেজি, সজনে ডাঁটা ১২০ টাকা কেজি, বেগুন ৪০ টাকা, মটরশুটি ৬০ টাকা এবং ক্যাপসিকাম ৫৫ টা🐷কা কেজিতে বিকোচ্ছে।
ঠি🐎ক কে, কী বলছেন? এই দামবৃদ্ধি নিয়ে কোলাঘাটের ফুল ব্যবসায়ী অজিত মণ্ডল এবং পাঁশকুড়ার ফল ব্যবসায়ী আনন্দ সামন্ত জানান, এই বছর একইদিনে পড়েছে সরস্বতী পুজো এবং সাধারণতন্ত্র দিবস। বৃহস্পতিবার লক্ষ্মীবারও। ফলে চাহিদা বাড়ার কারণে ফুলের দাম অনেকটাই চড়া রয়েছে। গত দু’দিন ধরে ফলের দাম আরও বেড়েছে। এই পরিস্থিতি চলবে। চলতি সপ্তাহে দাম কমবে না। আর রাজ্য সরকারের টাস্ক ফোর্সের সদস্য রবীন্দ্রনাথ কোলে বলেন, ‘গতবছর বৃষ্টিতে ফসল নষ্ট হয়েছিল। তাই গত শীতে সবজির দাম বেড়ে গিয়েছিল। এখন বাজারে সবজির জোগান ভাল। তাই দাম খুব একটা বাড়েনি।’