বাজারে 🦩হানা, ধরপাকড় এবং কড়া জিজ্ঞাসাবাদের পরও দাম কমল না সবজি থেকে আনাজের। আর তার জেরে নাভিশ্বাস উঠেছে মধ্যবিত্তের। গৃহকর্তারা বাজারে গেলে প্রথমেই পেঁয়াজের দামে ছ্যাঁকা খাচ্ছে। তারপর আলুর দাম শুনে পকেটে হাত দিচ্ছেন। যেন প্রকাশ্যে দিবালোকে পকেট কাটছে কেউ। আর সবজি দর ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় হতাশ হয়ে পড়ছেন অবশেষে। তারপর আকাশ পানে চেয়ে প্রশ্ন ছুঁড়ছেন—‘আলু, পেঁয়াজ, সবজির দাম আগুন। খাবটা কী?’ তাই সাধারণ মানুষের এখন একটাই প্রশ্ন, টাস্ক ফোর্স করছে কী? কলকা🍸তার কয়েকটি বাজারে হানা দিয়ে, ধরপাকড় করে এবং কড়া প্রশ্ন করেও দাম কমাতে পারছে না।
এখন পাইকারি বাজারদর আর খুচরো বাজারের দামের মধ্যে বড় পার্থক্য দেখা দিয়েছে। যা একসূত্রে বাঁধতে পারছে না টাস্ক ফোর্স। রবীন্দ্রনাথ কোলে দলবল নিয়ে শহরের তিনটি বাজারে হানা দিলেন। মানিকতলা, বাগমারি এবং গুরুদাস মার্কেটে গিয়ে নিজের চোখেই সেই ফারাক দেখলেন। আর প্রত্যেকটি বাজারে সবজি এবং আনাজের দাম বৃদ্ধি টের পেলেন। পেঁয়াজ ৭৫ টাকা কেজি। আলুর দাম ৩৫ টাকা কেজি। কিন্তু কোলে মার্কেটের পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম ৫৫ টাকা কেজি। এত দামের পার্থক্য কেন? এই বিষয়ে টাস্ক ফোর্সের প্রধান রবীন্দ্রনাথ কোলে বলেন, 🃏‘কোলে মার্কেটে সোমবার পেঁয়াজ ঢুকেছে ১৬০০ টাকা প্রতি বস্তা। আর মানিকতলা বাজারের ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজ কিনছেন ২৭০০ টাকা প্রতি বস্তা। দামের ফারাক আছেই। তবে আগামী কয়েকদিনꦐের মধ্যে দাম নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। দাম কমবে।’
আরও পড়ুন: ‘যদি সোমনাথ শ্যাম খুন হন তাহলে দায়ী থাকবেন অর্জুন’, নয়া তত্ত্ব আনলেন সাংসদ পার্থ
কীসের ভিত্তিতে বলছেন রবীন্দ্রনাথ? এটাও মধ্যবিত্ত মানুষজন জানতে চান। রবীন্দ্রনাথ কোলের দাবি, ‘অনেক বাজারে এখনও নতুন আলু ঢোকেনি। ব্যবসায়ীরা ৩২ টাকা কেজি দরে আলু কিনছেন। এটাই কয়েকদিন পর পাল্টে যাবে।’ কিন্তু শীতের সবজির দামও তো আকাশছোঁয়া। একটা ছোট ফুলকপির দাম ৩৫ টাকা। সেক্ষেত্রে সবজির দাম কমবে তো? টাস্ক ফোর্সের সদস্য রবীন্দ্রনাথ কোলের বক্তব্য, ‘এখনও বাজারে শীতের ফসল পুরোমাত্রায় আসেনি। একসপ্তাহের মধ্যে🍌ই প্রায় সব বাজারেই শীতের ফসল চলে🐬 আসবে। তখন দামও কমে যাবে।’
আর কী জানা যাচ্ছে? টমেটো, মূলো, শিম, পেঁয়াজ কলি, ফুলকপি, বাঁধাকপি সব সবজিরই দাম শুনে চমকে উঠছেন গৃহকর্তারা। রাজ্যে পেঁয়াজের একটা বড় অংশ আসে মহারাষ্ট্রের নাসিক এবং মধ্যপ্রদেশ থেকে। কিন্তু অতিবৃষ্টির জেরে মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশে অনেক পেঁয়াজ নষ্ট হয়েছে। তার জেরে খুচরো বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। তাই ব্যবসায়ীদের কথায়, ‘নাসিক থেকে ꦰপেঁয়াজ এই বছর ๊এখনও পর্যন্ত আসেনি। তাই দাম চড়েছে।’